হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েইসির তৎপরতা বাংলায়! কোন পথে ইমামদের সংগঠন, স্পষ্ট হল অবস্থান
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নামার কথা ঘোষণা করেছেন হায়দরাবাদের ভোটকাটুয়া পার্টি বলে পরিচিত মিম (aimim)। ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে জোট তৈরির প্রস্তুতিও শুরু করেছেন দলের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (asaduddin owaisi) । কিন্তু ওয়েইসির এই কাজকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না বাংলার ইমামদের সংগঠন।

বাংলায় আসাদউদ্দিন ওয়েইসির তৎপরতা
বিহারে ভোটে সাফল্যের পর আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তারা বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কেননা মিমের দাবি রাজ্যের ১৫ টি জেলায় তাদের সংগঠন রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো মুসলিম প্রধান জেলায় তাদের সংগঠন যথেষ্টই মজবুত বলে দাবি করেছিল মিম। এরপর গত রবিবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসি রাজ্যে আসেন। দমদম বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ফুরফুলা শরিফে। কথা বলেন, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। ফুরফুরা শরিফের রাজনীতিতে আব্বাস সিদ্দিকি বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরোধী বলেই পরিচিত। পরে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানান আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখে জোট করেই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, এবার রাজ্যের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাবে এই জোটও।

বিরোধিতা ইমাম সংগঠনের
এদিকে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির রাজ্যে এসে তৎপরতা শুরু করতেই বিরোধিতা শুরু করেছে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেছেন, রাজ্যের মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাদের সংগঠন এর তীব্র বিরোধিতা করছে। বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে জাত বনাম জাতের মুখোমুখি রাজ্য। তিনি বলেন, ধর্মের জিগির তুলে এমন রাজনীতি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।

প্রয়োজনে নতুন দল
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন মিমের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার কথা। এরই বিরোধিতা করেছে ইমামদের সংগঠন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মিম সাম্প্রদায়িক ভাবনা নিয়ে কাজ করে। এই ধরনের কাজের তারা বিরোধিতা করছেন। প্রয়োজনে ইমামদের সংগঠন বাংলায় নতুন দল গড়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেবে। পাশাপাশি রাস্তায় নেমে মিমের রাজনীতির বিরোধিতা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বাংলায় মুসলিম ভোট যাতে ওয়েইসির মতো দলের দিকে গিয়ে ভাগ না হয় সে ব্যাপারে তারা সচেষ্ট হবেন বলেও জানিয়েছেন।

প্রয়োজন নেই বাইরের মুসলিম নেতার
নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কাজও শুরু করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। এর তীব্র বিরোধিতা করে বাইরের রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বহিরাগত অ্যাখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। যার পাল্টা দিতে গিয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা সময় গুজরাতে গিয়েছিলেন। তাহলে কি তিনি সেই সময় বহিরাগত ছিলেন।
এদিন খানিকটা বহিরাগত্ তত্ত্বের কথাই উঠে এসেছে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের মুখে। তাঁরা বলছেন, রাজ্যের মুসলিমদের বাইরে থেকে আসা কোনও মুসলিম নেতার প্রয়োজন নেই। তাঁরা কটাক্ষ করে বলেছেন, বিজেপি যখন কোনও রাজ্যে জেতার জন্য ঝাঁপায় সেই সময় তাদের সাহায্য করতেই এগিয়ে আসেন ওয়েইসি।

ছবি সৌ:ফেসবুক
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে আপত্তির কথা জানিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না