"আম্ফান শতাব্দীর নিদারুণতম বিপর্যয়" প্রশাসনিক বৈঠকে বললেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব
"আম্ফান শতাব্দীর নিদারুণতম বিপর্যয়" প্রশাসনিক বৈঠকে বললেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব
আম্ফান পরবর্তী বসিরহাটের ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২নং ব্লক, হাসনাবাদ ও মিনাখাঁ যেভাবে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই বিপর্যয় শতাব্দীর নিদারুণতম বিপর্যয়।" এটা আপনিও জানেন আমিও জানি। ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমার পাঁচটি ব্লকের প্রায় ৫০০টি এলাকায় নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য ১১লক্ষ জলের পাউচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী ৩রা জুনের অর্থাৎ ভরা কোটালের মধ্যে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। যেখানে জল সরবরাহ নেই সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। ইতিমধ্যে শহর বসিরহাট, টাকির মতো পৌরসভাগুলিতে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে।
পাশাপাশি বারাসাত থেকে হেমনগর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটারের উপর রাস্তায় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছিল সেগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। যার জন্য যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে। ইতিমধ্যে জলে ডুবে ও জলবাহিত রোগে এই মহকুমায় প্রায় শতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। সেগুলো খুব দ্রুত নষ্ট করা হয়েছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন মহকুমা থেকে এখনো ডায়রিয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে, তার জন্য কৃষি লোনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আজকের রাতের মধ্যে কত বাড়ি ক্ষতি হয়েছে তার চূড়ান্ত তালিকা আমরা পেয়ে যাব। ধাপে ধাপে সেগুলি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বসিরহাট।
স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আজকের প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জয়েন্ট সেক্রেটারি সৌমেন ব্যানার্জি, উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বসিরহাটের পুলিশ সুপার কপি বারুই, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মন্ডল ও বসিরহাটের মহকুমার শাসক বিবেক ভস্মে সহ জেলার স্বাস্থ্য, সেচ ও পূর্তের আধিকারিকরা।
৪ দিনে ২৩জন বিমান যাত্রী করোনা পজেটিভ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের পরিস্থিতি