রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবে সরকার
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আজ আদালতে রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আজ আদালতে রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার দুপুর ২ টোয় রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। কিন্তু এদিন একজন আইজীবীর মৃত্যুতে আদালত মুলতুবি হয়ে যায়। তাই আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেবে রাজ্য।
এদিন দুপুর দুটোয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। তখনই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। মামলায় কেন্দ্র সরকার ও রেলকেও পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা নিয়ে গত বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারি আইনজীবী স্মরজিৎ রায় চৌধুরী জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর হওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তার পরেও রাজ্যজুড়ে অশান্তি জারি রয়েছে। উত্তর - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, বহরমপুর, নদিয়া সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ট্রেন স্টেশন, ট্রেন, বসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাস্তা অবরোধ করে সমস্যা বাড়ানো হয়েছে। পথ চলতি সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কোনও এফআইআরও হয়নি। রাজ্য প্রশাসন এক প্রকার চুপ।
পরে এই সংক্রান্ত আরও তিনটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। কেন্দ্রীয় আইন পাশ হওয়ার পর একটা রাজ্য কিভাবে বলে যে আইন মানব না ? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন জনৈক আইনজীবী কুন্তাল মোজুমদার। অন্যদিকে, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে রাজ্য কি করে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে পারেন যে এনআরসি ও সিএএ হবে না ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী সৌমেন সরকার আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে। এদিন আরেকটি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তিব্রওয়াল। এই সব কটি মামলারই এদিন এক সাথে শুনানি হবে আদালতে।