বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিল রাজ্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠের চারিদিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষুব্ধ আশ্রমিক থেকে শুরু করে পড়ুয়া, রবীন্দ্র-অনুরাগী মানুষজন। কাজ বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতিও। এ নিয়ে বচসাও শুরু হয় ঠিকাদার শ্রমিকদের সঙ্গে। ঘটনায় রবিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পক্ষে থাকা কর্মী-অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের নিয়ে মিছিল করেন স্বয়ং উপাচার্য।

মিছিলের নেতৃত্বেই ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ছিল তার সঙ্গে মোতায়েন থাকা সর্বক্ষণের সশস্ত্র দুই নিরাপত্তারক্ষী। এই অভিযোগ যায় রাজ্যের কাছে তার পর পরই তড়িঘড়ি সোমবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দপ্তরে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন থাকা সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে মিছিলে হাঁটা কাজ নিয়ম-বহির্ভূত। এই ঘটনার পরই উপাচার্যের চারজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে পাঁচশোর বেশি মানুষের জমায়েত নিয়েও প্রশ্ন ওঠে শিক্ষা মহলে। যেখানে করো না পরিস্থিতির কারণে সারা রাজ্য জুড়ে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে জমায়েত না হওয়ার জন্য বারংবার বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। তার সত্বেও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মতো একজন মানুষের এই মিছিল বা জামায়াতকে ভালো চোখে দেখছে না কেউই।