ফের রাজ্য সরকারেকে নিশানা রাজ্যপালের, উপাচার্য নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টুইট ধনখড়ের
ফের রাজ্য সরকারেকে নিশানা রাজ্যপালের, উপাচার্য নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টুইট ধনখড়ের
ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা জগদীপ ধনখড়ের। উপাচার্য নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন অনুমোদন ছাড়াই ২৪িট বিশ্ববদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। সেই দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সহ শহরের একাধিক নাম করা প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে লিখেছেন , 'নিয়ম বহিভূর্তভাবে আচার্যের অনুমতি ছাড়াই উপাচার্যের নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।' সেই অভিযোগের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ নতুন নয়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও রাজ্যপালের সংঘাত দেখা গিয়েছে।
২৩ জুন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু বিকাশ ভবন ২২ তারিখ আচার্যের কাছে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠায়। পর পর ২ বার রাজ্যপাল আচার্য জগদীপ ধনখড়ের কাছে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আচার্য জগদীপ ধনখড় তাঁর কোনও উত্তর দেননি বলে অভিযোগ। শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এখনও তিিন উপাচার্য পদে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিকে রাজযপালের দাবি তাঁকে না জানিয়েই উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার পাল্টা অভিযোগ করেছে, বারবার আচার্যের কাছে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন পাঠানোর পরেও রাজ্যপাল তাতে সই করেননি বা চিঠির কোনও জবাব দেননি। দিনের পর দিনসেই আবেদনের ফাইল আটকে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যাতে আটকে না যায় সেকারণেই এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।
উপাচার্য
নিয়োগের
নিয়ম
অনুযায়ী
শিক্ষা
দফতর
উপাচার্য
নিয়োগের
জন্য
৩টি
নাম
পাঠানো
হত
আচার্যের
কাছে
সেখান
থেকে
উপাচার্য
পদের
জন্য
একটি
নাম
বেছে
নিতেন
আচার্য।
বামআমলের
এই
নিয়মের
পরিবর্তন
ঘটায়
তৃণমূল
কংগ্রেস
সরকার।
উপাচার্য
নিয়োগের
জন্য
৩
জনের
সার্চ
কমিটি
গঠন
করা
হয়।
তাতে
সরকারের
পক্ষের
একজন,
আদালতের
পক্ষে
একজন
এবং
রাজ্যপালের
পক্ষ
থেকে
একজন
মোট
তিনজন
প্রতিনিধি
নিয়োগ
করা
হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। তারপরেই রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে