স্পিকার রাজ্যপালকে ব্ল্যাক আউট করছেন, মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে, ফের বিস্ফোরক জগদীপ ধনখড়
স্পিকার রাজ্যপালকে ব্ল্যাক আউট করছেন, মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে, ফের বিস্ফোরক জগদীপ ধনখড়
ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ জগদীপ ধনখড়ের। স্পিকার থেকে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক নিশানা করেছেন তিনি। স্পিকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলছেন বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে ভোটারদের কোনও স্বাধীনতা নেই। স্পিকার রাজ্যপালকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছেন বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী রাজ্যের সরকারি আধিকারীকরা ভুলে গিয়েছেন সংবিধানের অনুশাসন। এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।
একটাও ফাইল বাকি নেই
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে স্পিকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যপালকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছেন স্পিকার। রাজ্যপালকে ব্ল্যাকআউট করা হচ্ছে। স্পিকার নিজেকে আইনের উর্ধ্বে মনে করেন। প্রকাশ্যে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি দাবি করেছেন রাজ ভবনে একটি ফাইলও পেন্ডিং পড়ে নেই। সংবিধান মেনে তাঁর রিপোর্ট চাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই রিপোর্ট তিনি চেয়েছেন বলে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে।
বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা নেই
ভোটার দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে রাজ্যপাল প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন বাংলায় ভোটারদের কোনও স্বাধীনতা নেই। পশ্চিমবঙ্গে ভোট ঘিরে ভয়াবহ হিংসা হয়েছে। রাজভবনে একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বাংলায় কোনও আইনের শাসন নেই। শাসক দলের শাসন চলছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। বাংলায় যে আইনের শাসন নেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায়।
মমতাকে নিশানা
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান সম্পর্কে কোনও ধারনা নেই। সংবিধান রক্ষা করা রাজ্যপালের কাজ। সেটাই করছেন তিনি। রাজ্যপাল কোনও রিপোর্ট চাইলে মুখ্যমন্ত্রী সেটা দিতে দায়বদ্ধ সেটা তিনি জানেন না বলে অভিযোগ করেছেন ধনখড়। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
সরকারি আধিকারীকদের নিশানা
রাজ্যের সরকারি আধিকারীকদেরও নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যের সরকারি অাধিকারীকরা সংবিধান মেনে কাজ করেন না। কোনও একজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারেন না সরকারি আধিকারীকরা। সংবিধান মেনে নিরপেক্ষ ভাবে তাঁদের কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকতে দেওয়া হয় না জেলাশাসক সহ একধিক সরকারি আধিকারীককে প্রকাশ্যে এমনই অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। উপাচার্য নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছে।