শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়, রাজভবনে বৈঠকে মুখ্যসচিব ও ডিজির অনুপস্থিতি নিয়ে ফের বিস্ফোরক ধনখড়
শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়, রাজভবনে বৈঠকে মুখ্যসচিব ও ডিজির অনুপস্থিতি নিয়ে ফের বিস্ফোরক ধনখড়
ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর ডাকা বৈঠকে অনুস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তাতেই প্রবল রুষ্ট হয়েছেন রাজ্যপাল। গতকালের পর বুধবার ফের টুইটে রাজ্যে অপশাসন চলছে বলে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে নেতাই কাণ্ড নিয়ে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে শহিদ দিবসে যাওয়ার দিন কেন আটকানো হয়েছিল। কার নির্দেশে রাজ্য পুলিশ ঝিটকার জঙ্গলে বিরোধী দলনেতার গাড়ি আটকে ছিল তা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে তলব করেছিলেন। সেই চিঠি টুইট করে প্রকাশও করেছিলেন। তাতে ১২ জানুয়ারি তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু ১২ জানুয়ারি রাজভবনে রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। তাতে প্রবল রুষ্ট হয়েছেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ধনখড়। ফের টুইটে এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে নিশানা করে লিখেছেন, মুখ্যসচিব ও ডিজি ফের রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন। তিনদিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করার উদাহরণ এটি। পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নেতাই শহিদ দিবসে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেসময় ঝিটকার জঙ্গলে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। এই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যপাল ডিজি ও মুখ্যসচিবকে তলব করেন এবং জানতে চান বিস্তারিত তথ্য। কার নির্দেশি পুলিশ আটকেছিল বিরোধী দলনেতার গাড়ি তা জানতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যসচিব এবং ডিডি করোনা সংক্রমণের কারণে আইসোলেশনে থাকায় তাঁদের প্রতিনিধিদের পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ১২ তারিখ রাজভবনের বৈঠকে তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
যদিও এই প্রথম নয় রাজ্যে শাসকের আইন চলছে বলে অভিযোগ আগেও করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নালিশ ঠুকেছিলেন তিনি। এমনকী রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও সরব হয়েছিসেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করছে বলে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলের রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের নামে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।