'বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না', গান্ধীজির মৃত্যু দিনে ফের তোপ রাজ্যপাল ধনখড়ের
'বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না', গান্ধীজির মৃত্যু দিনে ফের তোপ রাজ্যপাল ধনখড়ের
গান্ধীজির
মৃত্যুদিনে
ব্যারাকপুরের
রাজঘাটে
অহিংসা
নিয়ে
বার্তা
দিতে
গিয়ে
ফের
রাজ্য
সরকারকে
নিশানা
করলেন
রাজ্যপাল
জগদীপ
ধনখড়।
সরাসরি
রাজ্য
প্রশাসনকে
নিশানা
করে
রাজ্যপাল
বলেছেন,
বাংলা
গণতন্ত্রের
গ্যাস
চেম্বার
হয়ে
যাচ্ছে।
এটা
বরদাস্ত
করতে
পারব
না।
বাংলার
মাটিকে
রক্তরঞ্জিত
হতে
দেখতে
পারব
না।
বাংলায়
আইনের
শাসন
নেই,
শাসকের
আইন
চলছে।
ফের রাজ্যকে নিশানা ধনখড়ের
রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। গান্ধীজির মৃত্যু দিনে ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ধনখড় বলেছেন, 'বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে। এটা বরদাস্ত করতে পারব না। বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। সংবিধানকে রক্ষা করা আমার কাজ। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সময় বের করে আমার সঙ্গে কথা বলুন। ব্যক্তিগত ইগো নিয়ে চলা ঠিক নয়।'
ফের মুখ্যসচিবকে তলব
ফের নেতাইকাণ্ডের রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে হাজিরা দিতে বলেছেন তিনি। ওকে এর আগেও একাধিকবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে তিনি যেতে পারেন নি। নেতাই দিবসের দিন ঝিটকার জঙ্গলে কেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেওয়া হয়েছিল তার কারণ জানতে চেয়েই মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন তিনি।
বিধানসভার স্পিকারকে নিশানা
এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন বিধানসভা ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরাসরি বিধানসভার স্পিকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন স্পিকার তাঁকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছেন। কোনও ফাইল আটকে নেই রাজভবনে। স্পিকার তাঁর সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন রাজ্যপাল। ভুল তথ্য দিচ্ছেন তিনি।
আমলাদের নিশানা
শুধু স্পিকারকে নন রাজ্যের আমলাদেরও নিশানা করেছিলেন তিনি। সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রধাসনিক আধিকারীকরাও সংবিধান মেনে কাজ করেন না। রাজ্যের মানুষের ভোট দেওয়ার কোনও স্বাধীনতা নেই। ভোটারদের অধিকার এখানে লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিকভাবে রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ।