রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার সঙ্গে আপোস, মমতার ভিডিও শেয়ার করে শঙ্কা প্রকাশ রাজ্যপাল ধনখড়ের
রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার সঙ্গে আপোস, মমতার ভিডিও শেয়ার করে শঙ্কা প্রকাশ রাজ্যপাল ধনখড়ের
রাজ্যের পরিস্থিতি বিপজ্জনক। টুইটে লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিডিও শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গতকাল হিন্দিভাষীদের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ভিিডও শেয়ার করেছেন পুলিশ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ আধিকারীক। তারপরেই রাজ্য পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবাধ ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে আপোস করা হচ্ছে। আঞ্চলিকতা নিয়ে সরকারি সাইটে পোস্ট করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল।
হিন্দিভাষীদের সভায় মোদীকে আক্রমণ মমতার
গতকাল তৃণমূল ভবনে হিন্দিভাষীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী টেলিপ্রম্পটার দেখে গুজরাতিতে ভাষণ দেন। মমতা কটাক্ষ করে বলেছেন আমাকে হিন্দি শেখাতে এলে আমি তাঁদের কান ধরে হিন্দি শিখিয়ে দেব। বিজেপি ধর্মের রাজনীতির পাশাপাশি বাঙালি-অবাঙালি রাজনীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মমতা।
রাজ্যপালের আক্রমণ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দিভাষীদের সভার সেই ভিডিও একাধিক আইপিএস অফিসার ও আইএএস অফিসারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে। রাজীব সিনহার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরেই রাজ্যের প্রশাসনিক ও পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশাসনের রাজনৈতিকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে টুইটে লিখেছেন রাজ্যপাল।
আবাধ ভোট নিয়ে সংশয়
রাজ্যে অবাধ ভোট নিয়ে ফের সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে ভোটের সময় কাজ করবে না বলে দাবি করেছেন জগদীর ধনখড়। আগেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নতুলেছিলেন তিনি। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিেয় প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল ধনখড়।
আঞ্চলিকতা নিয়ে প্রতিবাদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের অনুষ্ঠানে বাঙালি-অবাঙালি ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন। তিনি মোদী সরকার এবার ভাষা ভেদে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। জগদীপ ধনখড় তার কড়া সমালোচনা করে উল্টে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিকতা রাজনীতিতে টেনে আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এর আগে বহিরাহত ইস্যুতেও মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।