রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তা ফিরিয়ে নিল মেদিনীপুরের স্কুল
রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তা ফিরিয়ে নিল মেদিনীপুরের স্কুল
বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েও তাঁকে আসতে বারণ করে চিঠি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাগানবাড় হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার।
অনুষ্ঠান চলবে চারদিন। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিন, শুক্রবার, 'দ্বিজন্ম শতবার্ষিকীতে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যপালকে। কিন্তু তাঁকে আসতে বারণ করে চিঠি পাঠিয়ে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনিবার্য কারণে ওই আলোচনা সভা তারা বাতিল করে দিচ্ছেন। তাই রাজ্যপালকে না আসতে বলে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এলাকার বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের কথায় রাজ্যপালকে আসতে না বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার ভৌমিক বলেন যে অনিবার্য কিছু কারণে তারা এই আলোচনা সভা স্থগিত রাখছেন। তাই রাজ্যপালকে তা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। তবে অন্য অনুষ্ঠানগুলি হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা। থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, তাঁর স্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া সহ অন্যান্যরা।
জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকারের তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যপালের যে সংঘাত চলছে তার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে এই সংঘাত চরমে ওঠে।
রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানেসূচিতেও তাঁর নাম ও অনুষ্ঠানের উল্লেখ করা হয়েছে। তার পর রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা রাজ্যপালের আসার কথা জানার পর স্কুলে গিয়ে জানিয়ে আসেন যে রাজ্যপাল এলে স্কুলের অনুষ্ঠানে তাঁরা যাবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন ও নেতারাও বয়কট করবেন। এমনকী রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তা পেতেও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে এই স্কুলকে।
বাগানবাড় হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই সব নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না। তারা বলছেন যে তারা শুধুমাত্র একটি অপরিহার্য কারণে একটি অনুষ্ঠান যেখানে রাজ্যপাল আসার কথা ছিল তা বাতিল করেছেন।