করোনা মোকাবিলায় সেই ব্রিটিশ আইনেই ভরসা রাখল সরকার, জারি হল মহামারী আইন
করোনা মোকাবিলায় সেই ব্রিটিশ আইনেই ভরসা রাখল সরকার, জারি হল মহামারী আইন
ব্রিটিশ শাসনে প্লেগ, কলেরার মতো রোগে মহামারির মোকাবিলায় প্রণয়ন হয়েছিল মহামারি আইন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার মহামারি রুখতে এই আইন বলবৎ করেছিল। নোভেল ভাইরাস করোনার সংক্রমণ রুখতে এবার সেই পথেই হেঁটেছে গোটা দেশ। এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও লাগু হয়েছে 'দ্য এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট' বা মহামারি রোগ আইন।
জানা গিয়েছে, জার্মানি, ফ্রান্স বা স্পেন থেকে কলকাতায় আসা ২৪ জনকে রাজারহাট চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউটে গড়া কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। তাঁদেরই কয়েক জন কোয়রান্টিনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন পড়ুয়া, কেউ কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন, কেউ গিয়েছিলেন বেড়াতে। কোয়রান্টিনে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাদের চিকিৎসার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। বিদেশিদের দাবি, তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ না-থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কোয়রান্টিন করে রাখা হচ্ছে কেন? এটা করাই বা হচ্ছে কোন আইনে? এর পরেই এরাজ্যের ক্ষেত্রেও এই আইন লাগু করে রাজ্য।
১৮৯৭ সালের 'দ্য এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট' বা মহামারি রোগ আইনে বলা রয়েছে,এই রকম সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই আইনে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা কিম্বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি করোনা সন্দেহভাজনদের বলপূর্বক হাসপাতালে ভর্তি করতে পারবেন। রোগ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের পৃথক পর্যবেক্ষণে রাখার অধিকার পাবেন। রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দায়ী মনে হলে সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষমতা থাকছে আইনে। মহামারি মোকাবিলায় যে কোনও নির্দিষ্ট স্থান দখলে নেওয়া যাবে, কেউ তাতে বাধা দিলে তা আইন ভাঙা হচ্ছে বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে প্রায় ১২টি রাজ্য এই আইন বলবৎ করেছে। মহামারি রোগ আইন রূপায়ণের পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আপৎকালীন ছুটির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জার্মানি, ফ্রান্স বা স্পেন-সহ মোট সাতটি দেশ থেকে যাঁরা ভারতে ঢুকবেন, তাঁদের সকলকেই কোয়রান্টিনে রাখা হবে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে যদি দেখা যায় যে, কারও শরীরে কোনও উপসর্গ নেই, তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে আপাতত 'গৃহবন্দি' থাকার পরামর্শ দেওয়া হবে।
বিজেপি মন্ত্রী মুরলীধরন 'কোয়ারেন্টাইন'-এ! করোনা আতঙ্ক ক্রমেই জোরালো হচ্ছে