নন্দীগ্রামে 'মহাগুরু' মিঠুন! মমতাকে টেক্কা দিতে শুভেন্দুর মনোনয়ন জমায় থাকছে চমক
নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ১২ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। বিজেপি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন শুভেন্দু রোড-শো করবেন বলে খবর। সেখানে দুই জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি শুভেন্দুর সঙ্গে সেদিন থাকতে পারেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তীও।
নন্দীগ্রামের পিচে মমতা বনাম শুভেন্দু
২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটি একেবারে 'হাইভোল্টেজ' কেন্দ্র। তাই প্রথম থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই কেন্দ্রের দিকে নজর রেখেছে। কারণ এই কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নির্বাচনে লড়ছেন। তাই এই কেন্দ্রের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।
নন্দীগ্রামে বিজেপির ভরসা 'ভূমিপুত্র' শুভেন্দুর উপর
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটি জয়লাভ করতে বিজেপি শেষ পর্যন্ত বাজি রেখেছেন সেখানকার ভূমিপুত্র শুভেন্দুর উপরই। শুভেন্দু অধিকারীও সব সময়ই নিজের উপরই ভরসা রাখতে চাইছেন। তিনি একাধিকবার নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারাবেন।
মহাগুরু-শুভেন্দু জুটিতে মাতবে নন্দীগ্রাম
বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটিকে হাতের তালুর মতো চেনেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষত শহিদ পরিবারের মানুষজন মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও শুভেন্দুর উপর বেশি ভরসা করেন। কারণ শুভেন্দুই সব সময় তাঁদের সুখে ও দুঃখে পাশে থাকেন। তাই তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর পাশে থাকবেন বলে দাবি বিজেপির৷ রোড শো নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'স্মৃতি ইরানি ১২ তারিখ আসবেন, সেটা আমাকে ফোনে তিনি জানিয়েছেন৷' পাশাপাশি সূত্রের খবর মিঠুন চক্রবর্তীও সেদিন থাকতে পারেন শুভেন্দুর সঙ্গে। এর আগে মহাগুরু বলেছিলেন, শুভেন্দু বললেই নন্দীগ্রামে প্রচারে যাবেন তিনি।
আজ নন্দীগ্রামের প্রচারে যাচ্ছেন মমতা
এদিকে আজ নন্দীগ্রামের প্রচারে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী৷ পরেরদিন সকালে অর্থাৎ ১০ মার্চ হলদিয়ায় মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিকে আজ প্রচারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেবেন? সেই দিকেই নজর থাকবে গোটা জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের৷