হারের ভয়ে ইভিএম পাহারা দেওয়ার কথা বলছেন মমতা! তৃণমূলকে পাল্টা তোপ বিজেপির
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপির কর্মীরা৷ বিভিন্ন জায়গাতেই চলছে পথ অবরোধ, পার্টি অফিস ভাঙচুর, দলের পতাকা ও নেতাদের ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা৷ তার পরও এই বিক্ষোভকে যে দলের উচ্চ নেতৃত্ব খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল শমীক ভট্টাচার্যের কথায়৷
'ভয় পেয়েছেন মমতা'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছেন শমীক৷ তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবার ভয় পাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন৷ তাঁর যুক্তি, সেই কারণেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্টির সমর্থকদের ইভিএম পাহারা দেওয়ার কথা বলছেন৷
'বিক্ষোভকারীদের কেউ বিজেপির নয়'
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির এই নেতার কাছে বিক্ষোভ নিয়ে অজস্র প্রশ্ন এসেছে, প্রতিবারই তিনি হিমশীতল ভঙ্গিতে জানিয়েছেন, যারা পতাকা পড়াচ্ছে, পার্টি অফিস ভাঙছে, তাঁরা বিজেপির কেউ নন৷ এমনকী বিক্ষোভকারীদের এই অংশকে তিনি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও মানতে নারাজ৷ কারণ, তিনি মনে করেন যে পার্টির কোনও নেতা এই ধরনের ক্ষতি করে না৷
একটা রেজিমেন্টেড পার্টিতে কেন এই ধরনের বিক্ষোভ হবে?
কিন্তু বিজেপির মতো একটা রেজিমেন্টেড পার্টিতে কেন এই ধরনের বিক্ষোভ হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভ হওয়া উচিত নয়৷ কিছুটা তো বিচ্যুতি হয়েছে ৷ তবে দলের তরফে এবার প্রার্থী তালিকায় সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ সেই ভাবেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে দলের উচ্চ নেতৃত্বও বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে৷ তিনদিনের মধ্যে সব সামলে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নির্বাচনী প্রচারে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি৷
বিজেপির অস্বস্তি
তবে বিক্ষোভ ছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আরও একটি বিষয় বিজেপির কাছে অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আর তা হল কলকাতার চৌরঙ্গী ও কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসনের প্রার্থীদের নাম৷ চৌরঙ্গীর শিখা মিত্র এখনও কংগ্রেস ছাড়েননি৷ আর কাশীপুর-বেলগাছিয়ার তরুণ সাহাও তৃণমূলেই আছেন৷ তাঁরা কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি ৷ ফলে কীভাবে তাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় এল, এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সর্বত্র৷ এই নিয়ে অবশ্য শমীক ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ শুধু জানিয়েছেন, বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্ব দেখছে৷