বিশেষ ভাবে সক্ষম মানসিক প্রতিবন্ধী নতুন ভোটারদের ট্রেনিং দিচ্ছেন বিরাটির মিঠু রায় দত্ত
বিশেষ ভাবে সক্ষম মানসিক প্রতিবন্ধী নতুন ভোটারদের ট্রেনিং দিচ্ছেন বিরাটির মিঠু রায় দত্ত
ওরা বোঝে না রাজনীতি, বোঝেনা দল - রং - প্রতীক। চেনে না জোড়া ফুল, পদ্ম ফুলের লড়াই। চেনেনা গেরুয়া - সবুজ রংয়ের রেষারেষি। তবুও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং ভোটাধিকারের অধিকার রয়েছে ওদের। ওদের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে যাতে ওরা বঞ্চিত না হয় সেই লড়াইয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (লিভিং হিউম্যানিটি )। পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের দুঃখ-দুর্দশার অন্যতম অভিভাবক মিঠু রায় দত্ত।
বিশেষ ভাবে সক্ষম মানসিক প্রতিবন্ধী নতুন ভোটারদের ট্রেনিং দিচ্ছেন বিরাটির মিঠু রায় দত্ত। ওদের কাছে ভোট দেওয়াও একটা লড়াইয়ের মত। তাই ওদের পাশে দাঁড়াতে মিঠু তৈরি করেছেন ওদের নিয়েই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওদের মূলস্রোতে এক করতে লড়াই চালাচ্ছেন প্রতিমুহূর্তে ওদের সোনা মা।
মিউজিক থেরাপি সাহায্যে ওদের একাই শেখান নাচ প্রাণায়ন ও অভিনয়। এবার মিঠু হাত ধরেই ক্লাসে ওরা শিখছে হাতের কাজ পদ্মফুল এবং জোড়া ফুল তৈরি। ভোট না দেওয়া পর্যন্ত ওদের রুটিনে বেড়েছে আরও একটি করে ক্লাস। সেই ক্লাসেই ওরা চিনছে জোড়া ফুল পদ্মফুল এর রং। কখনো রং পেন্সিলে কখনো সুঁচের গাথায়। প্রতিদিনই ওদের ক্লাসের কোন না কোন অধ্যায় সংযোজন হয়েছে রাজনীতি। প্রার্থী তালিকা নির্বাচনে ঠিক পরের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে ভোট কে ঘিরে ওদের স্পেশাল ক্লাস।
এ বিষয়ে মিঠু দেবী জানান, 'চারিদিকে ভর্তির লড়াইয়ের পড়েছে, কিন্তু সেই উত্তাপ থেকে ওরা বঞ্চিত। ওরা কিছুই বোঝে না। তাই যাতে ভোট দিয়ে নিজের অধিকার নিজেরা পায়, তাই এই উদ্যোগ। ওদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে সারাবছরই চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে ভোট আসলে প্রতিবছরই ওদেরকে ভোট দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছরই ভুলে যায়। তাই প্রত্যেক বছরই নতুন করে ওদেরকে ভোট দিতে শেখাতে হয়।