'জনমুখী' দাবি নিয়ে মমতার দুর্গে হানা দিতে প্রস্তুত বামেরা, প্রশাসনের বাধাতেও উড়বে লালঝান্ডা
বামপন্থী চাত্র ও যুব সংগঠনগুলি প্রস্তুতি নিচ্ছে ১১ ফেব্রুয়ারির নবান্ন অভিযানের। মূলত কর্মসংস্থান এবং শিল্পের দাবিতে এই অভিযান বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে রাজনৈতিক কারণেই আসতে পারে বাধা। আর বামপন্থী সংগঠনগুলির অজানা নয়। তবে তাতেও দমে যেতে রাজি নন বাম নেতারা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, প্রশাসনের সম্মতি থাকুক বা বাধা আসুক, নবান্ন অভিযান হবেই।
নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন
১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। এই অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস, সিপিআইএমএল লিবারেশনকেও। তবে এই অভিযানে যদি বাধা মেলে তাহলে তার দায় বর্তাবে প্রশাসনের উপরই, কড়া হুঁশিয়ারি বাম সংগঠনগুলির। এই অভিযান ঘিরে আদালতে যাওয়ার ভাবনাও রয়েছে বাম সংগঠনগুলির।
'অনুমতি না পেলেও আমরা ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন যাবই'
এই বিষয়ে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে ইতিমধ্যেই আমরা অভিযানের বিষয়ে জানিয়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের আবেদনই গ্রহণ করছে না। এই ক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার কোনও দায় নেই। এবারে অনুমতি না পেলেও আমরা ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন যাবই।'
অভিযানের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি
এর আগে এই অভিযানের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, নবান্ন অভিয়ানে ছাত্র-যুবদের গায়ে হাত পড়লে রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। সেই একই সুর শোনা গিয়েছে বামপন্থী সংগঠনগুলির গলাতেও। এরই মাধ্যে আজ আবার শহরজুড়ে ধর্না ও আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে বাম মহিলা সংগঠনগুলি।
এখন চাকরির কথা বলে কী হবে?
এর আগে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশের সময় ঢালাও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ঘোষণাকে ভোটের চমক হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা। ভোটের মুখে চমক দেওয়ার ভঙ্গিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, রাজ্যে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান হবে। এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করে বাম যুব নেতাদের পাল্টা বক্তব্য, কিছু দিন পরে আপনারই চাকরি থাকবে না! এখন চাকরির কথা বলে কী হবে?