অমিত শাহের সামনে ব্যাকফুটে মমতার প্রশাসন, কোন সমীকরণে 'পরিবর্তন' আসবে উত্তরবঙ্গে
ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে বিধানসভা ভোট। পঞ্চায়েত ভোট ও উনিশের লোকসভা ভোটের পর এবার পায়ের তলার মাটি আরও মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপির এখন পাখির চোখ বাংলা। একের পর এক নেতা দিল্লি থেকে উড়ে আসছেন রাজ্যে। এরই মাঝে ১১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসার কথা অমিত শাহের। উত্তরবঙ্গে তাঁর হাত ধরেই শুরু হওয়ার কথা রথযাত্রার। জানা গিয়েছে, বেলডাঙার ঝামেলা সত্ত্বেও সংঘাত এড়াতে উত্তরবঙ্গে বিজেপির পরিবর্ত যাত্রার অনুমতি দেবে প্রশাসন।
বিজেপির সভা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই পুলিশের
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিবর্তন যাত্রার জন্য দুই ধরনের অনুমতি লাগবে। সভার অনুমতি দেওয়া হবে পুলিশের তরফে। এছাড়াও সভার জন্য রাসমেলার মাঠের অনুমতি দেওয়ার কথা ভূমি রাজস্ব দফতরের। পুলিশের তরফ থেকে প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের বিজেপির সভা নিয়ে কোনও আপত্তি বা অসুবিধে নেই।
রাজ্যের পাঁচটি জোনে পরিবর্তন যাত্রা বিজেপির
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও কোচবিহার থেকে বিজেপির রথযাত্রা উদ্বোধনের কথা ছিল অমিত শাহের। তবে সে যাত্রায় রথ চালানোর অনুমতি পায়নি বিজেপি। মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু শেষমেষ সেই যাত্রা বাতিল করতে হয়েছিল বিজেপিকে। এবার সেই একই ধাঁচে রাজ্যের পাঁচটি জোনে পরিবর্তন রথযাত্রা করছে বিজেপি।
উত্তরবঙ্গের রথযাত্রাকে সবুজ পতাকা দেখানোর কথা অমিত শাহের
সেই প্রেক্ষিতেই ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গের রথযাত্রাকে সবুজ পতাকা দেখানোর কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এর আগে এই কর্মসূচির আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। তবে নবান্নর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে। সেই সূত্র ধরেই বিজেপির তরফে কোচবিহার জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
বিজেপির হুঁশিয়ারি
এদিকে বিজেপির তরফে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দেওয়া ছিল যে অনুমতি দেওয়া হোক, আর না হোক, পরিবর্তন যাত্রা তারা করেই ছাড়বে। সেই ক্ষেত্রে সংঘাত দেখা দিতে পারে। যা এড়িয়ে চলতে চাইছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। এদিকে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সমর্থনে কোচবিহার শহরে সাইকেল মিছিল অনুষ্ঠিত হয় সোমবার।
রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ভারাক্রান্ত মোদী, কেন হঠাৎ কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী?