নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে 'কিংপিন' মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির! রয়েছে স্ত্রী এবং ছেলের নামও
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির গ্রেফতারের ৫৯ দিনের মাথাতে এই চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে। সেখানে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কিংপিন হিসাবে মানিককে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। এমনটাই খবর। অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ইডির তরফে
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে নয়া মোড়! মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির গ্রেফতারের ৫৯ দিনের মাথাতে এই চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে। সেখানে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কিংপিন হিসাবে মানিককে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। এমনটাই খবর। অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ইডির তরফে চার্জশিটে নাম রয়েছে স্ত্রী এবং ছেলেরও। তবে মানিকের মামলাতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেই বলেই জানা গিয়েছে।
১৫৯ পাতার চার্জশিট
দীর্ঘ জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ বুধবার আদালতে তোলা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। যদিও তার আগেই ইডির তরফে আদালতে একেবারে ট্রাঙ্ক ভর্তি করে চার্জশিট এবং নথি নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে একেবারে ১৫৯ পাতার চার্জশিট এদিন জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কীভাবে মানিকবাবু নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত তা বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে কীভাবে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হত তাও চার্জশিটে বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কিংপিন হিসাবেও মানিক ভট্টাচার্যকে উল্লেখ
এমনকি নিয়োগ দুর্নীতির প্রধান কিংপিন হিসাবেও মানিক ভট্টাচার্যকে চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে স্ত্রী এবং ছেলের নামও ওই চার্জশশিটে আছে বলে খবর। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও ছেলে শৌভিকের একাধিক সংস্থার নাম রয়েছে। বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মনোন্নয়নের জন্যে কীভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে সেটিও উলেখ করা হয়েছে বলে খবর। ফলে কেলেঙ্কারির জালে মানিক ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তাপস মণ্ডলের নামও রয়েছে
অন্যদিকে চার্জশিটে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নামও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েক দফাতে একাধিকবার তাপসকে জেরা করেছে ইডি। কীভাবে টাকা তোলা হত সেই সংকান্ত তথ্য তিনি তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়েছেন বলেই খবর। এমনকি আরও দুটি সংস্থার কথাও ইডির তরফে জমা দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ আছে বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতে ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা পড়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। আর তদন্ত নেমে মানিকের এখনও পর্যন্ত ৩ কোটির সম্পত্তির উল্লেখ তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলেই খবর
বাংলায় ফিরছে ভাঙনের রাজনীতি! তৃণমূল ও বিজেপির বাকযুদ্ধে সিঁদুরে মেঘ রাজ্য-রাজনীতিতে