দ্বিতীয় ওয়েভে বিপর্যস্ত বাংলায় বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস? একজনের মৃত্যুর খবর ঘিরে জল্পনা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। তথ্য বলছে দেশজুড়ে প্রায় ৪ লক্ষ্যে মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের হারও। আর সংক্রমণ প্রত্যেকদিনই ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। তথ্য বলছে দেশজুড়ে প্রায় ৪ লক্ষ্যে মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের হারও।
আর সংক্রমণ প্রত্যেকদিনই ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে।
এর শেষ কোথায় কেউ জানে না।
আর এরই মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে কালো ছত্রাকের আবির্ভাব। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ বাড়ছে একাধিক রাজ্যে। এবার এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ থেকে বাদ পড়ল না এই রাজ্যও।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর। করোনার সংক্রমন বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। এদিকে কোভিড রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরোমাইকোসিস। এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা বসিয়েছে এই বাংলাতে। এবার মৃত্যুর খবর সামনে আসছে।
চিকিত্সকদের দাবি, এই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মহিলার। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনামুক্ত হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিন পাঁচেক আগে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলাতে গত কয়েকদিন আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চারজন রোগীর সন্ধান মেলে। কিন্তু তাঁরা কেউই রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন না।
চিকিত্সকদের দাবি, মৃত এই মহিলা কলকাতারই পার্শ্ববর্তী এলাকাই বাসিন্দা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
যদিও এই মুহুর্তে রাজ্যে মোট কতজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও জানানো হয়নি।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই গোটা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। এমনকী শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হয়েছেন ২ হাজারের বেশি মানুষ। একের পর এক রাজ্য থেকে আসছে মৃত্যুর খবর।
এমতাবস্থায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এবার বেশ কিছু পরামর্শ দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে। দিল্লি, গুজরাত, এবং বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু কোভি়ড রোগীদের এই রোগ ধরা পড়েছে। এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন অবহেলা করলে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার টুইটারেই এই বিষয়ে একগুচ্ছ পোস্ট করেন হর্ষ বর্ধন।
এমনকী এই রোগ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে কী করা উচিত সেই বিষয়েও চারটি স্লাইডে বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে কালো ফাঙ্গাসের রোগ বা মিউকোরোমাইকোসিস কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ত্বকের সমস্যা হয়ে শুরু হলেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে।
সেকথা মানছেন খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রীও। এমনকী এরফলে পরিবেশে থাকা একাধিক ভাইরাস, রোগ-জীবানুদের সাথেও লড়াইয়ের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মানব শরীর। এই বিষয়েই মূলত প্রথম স্লাইডে সচেতন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কোন কোন উপসর্গ সবথেকে বেশি মাথাচাড়া দিচ্ছে ?
শরীরে যন্ত্রণা, চোখ-নাকের পাশ দিয়ে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, নিঃশ্বাসের সমস্যা, রক্তবমি, স্মৃতি শক্তিতে প্রভাব অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রাথমিক ভাবে মাথাচাড়া দেয় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের৷
তবে ঘন ঘন নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমনকী দৃষ্টি শক্তি হারিয়েও ফেলেছেন অনেকে।
তাই আগাম সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধ পালনের পাশাপাশি কিছু জিনিস এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।