সিপিএমের পাশে প্রদেশ কংগ্রেস! মমতাকে রাহুলের সমর্থন ঘিরে প্রশ্ন দলের অন্দরেই
রাহুল গান্ধী শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ায় হতাশ বাংলার কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
ব্রিগেড সমাবেশে বিভিন্ন রাজ্যের বড় দলগুলিকে হাজির করে কেন্দ্রে সরকার বদলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই জমায়েতকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মমতাকে চিঠি লিখে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মল্লিকার্জুন খারগে ও অভিষেক মনু সিংভীকেও দলের পক্ষ থেকে পাঠিয়েছেন।
রাহুলে হতাশ সোমেনরা
রাহুল গান্ধী শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ায় হতাশ বাংলার কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। অধীর চৌধুরীর পর প্রদেশ সভাপতি পদে সোমেন মিত্র এলেও তৃণমূল বিরোধিতায় একইরকম সরব প্রদেশ কংগ্রেস।
প্রদেশ নেতাদের ক্ষোভ
প্রদেশ নেতাদের ক্ষোভ, রাহুল গান্ধী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাও বলতে পারতেন। কারণ এরাজ্যে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিয়েছে শাসক দল। প্রদেশ নেতারা তাই বলছেন, কেন্দ্রে যেমন সরকার বদল প্রয়োজন, তেমনই রাজ্যেও সকারের বদল হওয়া প্রয়োজন।
[আরওো পড়ুন:কেন এলেন না মমতার ডাকে ব্রিগেডে! কারণ স্পষ্ট করলেন জগন্মোহন রেড্ডি]
রাহুল কেন চিঠি দিলেন
রাহুলের চিঠির পরে সিপিএম সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, রাহুল বলেছেন গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হতে পারে না। অথচ মমতা বাংলায় গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। বিজেপি যেমন বিভাজন করছে, তেমনই সূর্যকান্ত মমতার বিরুদ্ধেও বিভাজনের অভিযোগ তুলেছেন।
[আরও পড়ুন:প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খুন বিজেপি নেতা, মাঠে মিলল দেহ ]
বামেদের পাশে প্রদেশ কংগ্রেস
সেই ঘটনাকেই সমর্থন করেছেন সোমেন মিত্ররা। কারণ এর আগেই তিনি চিঠি লিখে লোকসভা ভোটে বাংলায় কংগ্রেসের আলাদা লড়ার মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলায় আলাদা না লড়লে দল সাইনবোর্ড হয়ে যাবে বলে সোমেন মিত্ররা আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, হাইকম্যান্ড তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা চাইলেও রাজ্যের কংগ্রেস কোনওভাবেই মমতার সঙ্গে জোট চাইছে না।
[আরও পড়ুন:মমতার মহাজোটে থাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই জোর লড়াই তিন বড় দলের ]