'আমি কারোর কাছে ভিক্ষা চাই না', কেন্দ্রকে তোপ মমতার! দুয়ারে ত্রাণ দিতে ৩৬৪.৩ কোটি খরচ সরকারের
সাইক্লোন ইয়াসের ধাক্কাতে কার্যত শশ্মানের ছবি ফুটে ওঠে! ভয়ঙ্কর গতিতে মেদিনীপুর বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতের উপর দিয়ে বয়ে যায়। পাহাড় প্রমাণ ঢেউয়ের ধাক্কায় কার্যত সাজানো গোছানো দিঘার কঙ্কাল সার ছবিটা বেরিয়ে আসে। ভেঙ্গে পড়ে রাস্ত
সাইক্লোন ইয়াসের ধাক্কাতে কার্যত শশ্মানের ছবি ফুটে ওঠে! ভয়ঙ্কর গতিতে মেদিনীপুর বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতের উপর দিয়ে বয়ে যায়। পাহাড় প্রমাণ ঢেউয়ের ধাক্কায় কার্যত সাজানো গোছানো দিঘার কঙ্কাল সার ছবিটা বেরিয়ে আসে। ভেঙ্গে পড়ে রাস্তাঘাট, রাস্তায় উঠে আসে বোল্ডার। ভেঙে পড়ে লাইট।
কার্যত চারপাশ জুড়ে শুধুই ধ্বংসের চেহারা ধরা পড়ে। রাজ্যের একমাত্র সৈকত শহরকে সাজিয়ে তুলতে ছুটে যান মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজে চোখে দেখেন। মানুষের কষ্টের ছবি ধরা পড়ে তাঁর কাছে। তিনমাসের মধ্যে ঢেলে দিঘাকে সাজানোর নির্দেশ দেন মমতা। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় কাজ।
ধীরে ধীরে পর্যটকদের ভিড়ও শুরু হয়েছে সেখানে। এই অবস্থায় গরিব মানুষদের হাতে ইয়াসের দাপটে ভেঙে পড়া দোকানকে ফের সাজিয়ে গুছিয়ে চাবি তুলে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সাইক্লোনের কারণে একাধিক দোকান ভেঙে পড়ে সেখানে।
এই অবস্থায় দোকানগুলি সাজিয়ে তোলা হল আবার। সারিয়ে গুছিয়ে আবার দোকানের চাবি আজ বৃহস্পতিবার তুলে দেওয়া হল বিক্রেতাদের হাতে। একই সঙে তুলে দেওয়া হয়েছে ৫২ টি মোবাইল ভেন্ডিং কার। নবান্ন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সেখানকার ব্যবসায়ীদের হাতে এই চাবিগুলি তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই শনি এবং রবিবার।
এই সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ভিড় জমান। আর তাঁর আগে এই গাড়িগুলি পেয়ে উপকৃত হলেন সমুদ্র সৈকতের হকারা। শুক্রবার থেকেই গাড়িগুলিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তাঁরা। উপকূলবর্তী দিঘা, মন্দারমণির চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধ্বংসের চেহারা।
কার্যত একই ছবি সুন্দরবনেও। ইয়াসের দাপটে সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় দুটি মাস্টারপ্ল্যানের কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন ফের একবার মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। মাছের তেলেই কেন্দ্রীয় সরকার মাছ ভাজচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
তবে সরকার মানুষের পাশে কাজ করছে। তাঁর মতে, কারোর ভিক্ষা আমি চাই না। আমি বাড়িতে একটু খেতে পারলে আমারও রাজ্যের মানুষও পাবে। পাশাপাশি এদিন দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সঙে কাজ এগোচ্ছে। একাধিকবার খতিয়ে দেখার পর মানুষকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর কথায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৯.১ লক্ষ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা চলে গিয়েছে। তবে এর জন্য সরকারের বাড়তি ৩৬৪.৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Recommended Video