আনিস-সহ রামপুরহাট! বাংলায় একের পর এক ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন 'বুদ্ধিজীবী'দের চিঠি মমতাকে
রামপুরহাট সহ একাধিক ঘটনায় মুখ পুড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা! আর তা নিয়ে সরব বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, রামপুরহাটে ৯ জনের নৃসংস মৃত্যুর পরেও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই
রামপুরহাট সহ একাধিক ঘটনায় মুখ পুড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা! আর তা নিয়ে সরব বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, রামপুরহাটে ৯ জনের নৃসংস মৃত্যুর পরেও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিশিষ্টজনেরা।
রাজ্যে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া হিংসার একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে ২২ জনের সাক্ষর রয়েছে। দেরিতে হলেও বাংলার বুদ্ধিজীবীদের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বিরোধী শিবির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ২২ জন এই চিঠি দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, পরমব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, ঋদ্ধি সেন, সোহিনী সরকার, অনির্বাণ চক্রবর্তী, রূপসা দাশগুপ্ত, গৌরব চক্রবর্তী, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ঠজনেরা। যদিও রামপুরহাটের ঘটনার পরেই একটি কবিতা লিখেছিলেন শ্রীজাত।
বলে রাখা প্রয়োজন যে ২২ জন এই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে শ্রীজাত মুখ্যমন্ত্রীর সুনজরে রয়েছেন। অনেক সময়ে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের প্রশংসা ধরা পড়েছে তাঁর কথায়। এবং পরমব্রতকে সম্প্রতি তৃণমূলের প্রচারে কিংবা মিটিংয়েও দেখা গিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাক্ষর করা এই চিঠির যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
যেমন বিশিষ্ঠজনেরা ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে পূর্ব বর্ধমানের তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যা, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু আর পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুন এবং রামপুরহাটের ঘটনার উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। আর তা করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, ঘটনাগুলির তদন্তের গতিপ্রকৃতিও নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
পাশাপাশি পুরসভা ভোটে যেভাবে ভোট হয়েছে এবং অশান্তি হয়েছে তা নিয়েও তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রামপুরহাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা লিখছেন, 'রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডটিকে যেকোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ দ্ব্য়র্থহীন ভাষায় পৈশাচিক আখ্যা দেবেন। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।'
অন্যদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবাই আতঙ্কিত! এই বিষয়টি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সে বিষয়টি দেখার কথাও বলা হয়েছে প্রশাসনের তফে।