নরেন্দ্র মোদীর নামে ভোট হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোনও ‘যোগী' বা 'বিপ্লব’, একুশের লড়াইয়ে বিজেপি
বিজেপিকে ২০২১-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম প্রকাশ করে লড়াই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রজেক্ট করে বাংলার ভোটে লড়াই মানবে না বাংলার জনতা। বাংলার ভোটার এবং বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাহলে প্রশ্ন অবশ্যই তুলবে। বিজেপির পক্ষ বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রজেক্ট করে লড়া কঠিন হবে।

মোদী নামে ভর করেই জয়ের খোঁজে
বিজেপি মোদির নামে বিধানসভা নির্বাচন লড়তে চাইছে। মোদীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও কর্মপরায়নতার উপর ভরসা করেই ভোট লড়ার পক্ষে বিজেপি। ২০১৭ সালে অসমে ও উত্তরপ্রদেশ এবং ২০১৮ সালে ত্রিপুরার মতো কঠিন জয় এসেছে মোদী নামে ভর করেই। তাই বাংলাও সেই পথে জয় আসবে বলে আশাবাদী বিজেপি।

মোদীর ন্যায় ‘সুশাসন’ মিলবে!
বিজেপি ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মোদীর ন্যায় ‘সুশাসন' মিলবে। মোদীর প্রতিশ্রুত উন্নয়ন পাবেন। ঠিক তেমনই পাবেন যোগী আদিত্যনাথ এবং বিপ্লব দেবের মতো কোনও প্রশাসনককে। বিজেপি মোদীকে মুখ করে এগোতে চাইছে, কারণ তা ভোটারদের আকর্ষণ করার জন্য একটি টোপ।

মোদী মুখকে কি মানবে বাংলার মানুষ?
মোদীকে মুখ করে উত্তরপ্রদেশে আখিলেশ যাদব বা ত্রিপুরায় মানিক সরকারের মতো নেতাকে যদি পরাজিত করা যায়, তাহলে বাংলায় কেন পরাজিত করা যাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বাংলার মাটি শক্ত ঘাঁটি। এখানে বিধানসভার যুদ্ধে মোদী মুখকে সেভাবে মেনে নেবে না বাংলার মানুষ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মেনে নেবে বাংলা!
পশ্চিমবঙ্গে পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বিজেপি যদি জয় পেতে চায় তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী মুখকে আনতেই হবে। বিজেপি যদি এই পথ থেকে সরে দাঁড়ায়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মেনে নেবে বাংলা। নরেন্দ্র মোদী কেবল প্রভাবশালীই থাকবেন। তিনি কখনই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের চালিকা শক্তি থাকবেন না।

মোদীর ‘নিরাপদ হাতে’ থাকবে বাংলা!
মোদীকে মুখ করেই যদি বিজেপি ভোট লড়ে, তবে তা হবে নিতান্তই বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। কেননা পুরোপুরি নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে নির্বাচন ও প্রচার চালিয়ে বিজেপি যদি ভোটারদের কাছে এই ধারণা তৈরি করে যে, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে তারা মোদীর ‘নিরাপদ হাতে' থাকবে। বাস্তবে মোদীর নীতিগুলি কোনও বিজেপি-শাসিত রাজ্যকে বিরোধী-শাসিত রাষ্ট্রের চেয়ে আলাদা কর না।

পুরোপুরি মোদীর নামে নির্বাচনে লড়াই
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মোদী এমন এক উদ্রেককারী শক্তি ছিলেন যে, অনেক ভোটার তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় বিজেপি প্রার্থীর নামও জানতেন না। শুধু বিদায়ী সিএম অখিলেশ যাদব নয়, প্রতিটি প্রার্থীই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ত্রিপুরাও এর চেয়ে আলাদা ছিল না। কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ না থাকায় বিজেপি পুরোপুরি মোদীর নামে নির্বাচনটি লড়াই করে।

আদৌ মোদীর নামে লড়ে ফায়দা তোলা যাবে!
তবে বাংলার ক্ষেত্র আলাদা। আদৌ মোদীর নামে লড়ে বাংলায় ফায়দা তুলতে পারবে কি না বিজেপি, তা নমিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। ২০১৪-য় মোদীর নেতৃত্বে লোকসভায় ভালো ফল করার পর, মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে। সেবার মাত্র তিনটি আসনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল, অথচ বিজেপি লোকসভায় পেয়েছিল ২টি আসন।
গণতন্ত্রকে বুলবোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, রাজ্যসভা পর্বে কেন্দ্রকে তোপ ডেরেকের