ভাদ্র সংক্রান্তি, বিশ্বকর্মা থেকে ভাদুপুজো ঘিরে বাংলা আজ উৎসবের ছন্দে
বিশ্বকর্মা পুজোর সাথে সাথে আজ লাল মাটির রাঢ় বাংলা জুড়ে পালিত হচ্ছে ভাদু পুজো। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলার এই দুই ভিন সংস্কৃতির রঙিন ছবি।
বাংলার আকাশে ,আজ কোথাও উড়বে রঙিন পেটকাঠি, চাঁদিয়াল তো কোথাও সবুজ ধানের খেত পেরিয়ে দিগন্তে ভেসে যাবে ভাদু গান। আর এই ভাবেই প্রতিবারের মতো এবারেও বাংলার 'উৎসবের ঢাকে কাঠি' পড়বে। বিশ্বকর্মা পুজোর সাথে সাথে আজ লাল মাটির রাঢ় বাংলা জুড়ে পালিত হচ্ছে ভাদু পুজো। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলার এই দুই ভিন সংস্কৃতির রঙিন ছবি।
বিশ্বকর্মা পুজো
গোটা বাংলা জুড়ে আজ কলকারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো। কথিত রয়েছে শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মাই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেন। তাঁর আরাধনার মাধ্যমে শিল্প তথা নির্মানকাজে সমৃদ্ধি লাভ হয়।
ভোকাট্টা
বাঙালির
কাছে
বিশ্বকর্মা
পুজো
মানে
উৎসবের
মরশুমে
ঢুকে
পড়ার
দিন।
গোটা
দিনজুড়ে
আকাশে
রঙবেরঙের
ঘুড়ির
লড়াই
আর
ছাদ
থেকে
ছাদে
ভেসে
যাওয়া
'ভোকাট্টা'
উচ্চারণের
উল্লাস।
গোটা
পরিবেশে
লেগে
থাকে
পুজোর
গন্ধ।
ভাদু
ইট-কাঠ-পাথরের দুনিয়া থেকে অনেক দূরে বাংলার লাল মাটিতে উদযাপিত হচ্ছে 'ভাদু পুজো'। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি ও হাজারিবাগ জেলার লৌকিক উৎসব 'ভাদু'।
ভাদু পুজার রীতি
রাঢ় বাংলার একটা বিশাল অংশ জুড়ে প্রচলিত রয়েছে ভাদু পুজা। ভাদ্রসংক্রান্তির দিন , বাড়িতে একটি পাত্রে ফুল রেখে ভাদুর বিমূর্ত রূপ কল্পনা করে গ্রামের কুমারী মেয়েরা সমবেত কন্ঠে ভাদু গীত গেয়ে থাকেন। এরপর আজই ভাসান পর্বও সেরে ফেলা হয়।
ভাদু পুজোর ইতিহাস
ভাদু উৎসব নিয়ে মানভূম অঞ্চলে লোকগাথায় বলে, পঞ্চকোট রাজপরিবারের রাজকন্যা ভদ্রাবতীর বিয়ের দিন বিয়েবাড়িতে ডাকাত দল এসে বরযাত্রী সহ খুন করে ভদ্রাবতীর স্বামীকেও। সেই শোকে সহমরণে যান ভদ্রাবতী। সেই ঘটনা স্মরণ করতেই এই পুজো। সঙ্গে গাওয়া হয় বিশেষ লোকসঙ্গীত ভাদু গান।
বর্তমানে ভাদু পুজা
বহুদিন পর্যন্ত ভাদু পুজার কোনও মূর্তি ছিল না। তবে বর্তমানে বেশ ভাদু পুজার মূর্তি প্রচলিত রয়েছে।