পিছন থেকে ছুটে এসে শুধুমাত্র 'ভোট মেকআপ' দিয়ে উপনির্বাচনে বাজিমাত তৃণমূল কংগ্রেসের
তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে একটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। একটি তৃণমূল, একটি বিজেপির দখলে। এই তিন কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে সকলে আশা করেছিলেন।
তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে একটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। একটি তৃণমূল কংগ্রেস, একটি বিজেপির দখলে। এই তিন কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে সকলে আশা করেছিলেন। তবে এভাবে যে তৃণমূল কংগ্রেস বাকী দলগুলিকে ছাপিয়ে এবং বিজেপিকে দিয়ে এতটা ভয় পাবে তা বোধহয় তৃণমূলের বড় সমর্থক কল্পনা করতে পারেননি। বিশেষ করে কালিয়াগঞ্জের মতো আসন, খড়্গপুর কেন্দ্র - যেখানে বিজেপি নিজেদের জমি অনেকটাই শক্ত করে ফেলেছিল। সেখান থেকেই জয় অবশ্যই তৃণমূলের আনন্দ অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
বড় জয় তৃণমূলের
এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট মেকআপ করেই বড় জয় পেল। এবং তিন কেন্দ্রে অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এবং শীর্ষ নেতৃত্ব একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারকে যেভাবে সংগঠিত করতে পেরেছিলেন, তারই ফলস্বরূপ তিনটি কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পকেটে পুরে নিল। যা ২০২১ লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে অক্সিজেন যোগাবে।
এনআরসি বোঝা বিজেপির
কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি ৫৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল। সেই ব্যবধান ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস উল্টে ২৩০০-র বেশি ভোটে এই আসনে জয় পেয়েছে। এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে বোঝাতে পারাই যে সবচেয়ে বড় জয়ের কারণ সেটা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাও একবাক্যে মেনে নিয়েছেন।
বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে সংখ্যালঘুরা
অন্যদিকে করিমপুর কেন্দ্রেও এই এনআরসি ইস্যুকে কেন্দ্র করেই প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। এবং মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এই ইস্যুতে যদি তৃণমূলের পাশে তারা না দাঁড়ান, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের কী কী বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রচার চালানোর ফলে এসেছে সাফল্য। ভোটের ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
অবাঙালিরাও দূরে ঠেলে দিয়েছে বিজেপিকে
অন্যদিকে খড়্গপুরে কেউ ভাবতেই পারেনি, বিজেপি এই আসনে হেরে যাবে। কারণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এটি খাসতালুক। এখানে গত লোকসভা ভোটে নিরিখে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে দিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার। সেখান থেকে এগিয়ে কুড়ি হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। ফলে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ভোট মেকআপ দিয়ে এত বড় সফলতা পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জন্য বুমেরাং হয়ে গিয়েছে এনআরসি প্রচার।