সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন রাজ্যপালের! পূর্ব-পরিকল্পিত-আমি মর্মাহত, বললেন মমতা
দীর্ঘ এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে টানটান উত্তেজনা বিধানসভায়। অবশেষে প্রথম এবং শেষ লাইন বলে বক্তৃতা শেষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মন্তব্য রাজনৈতিকমহলের। তবে এদিনের এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক
দীর্ঘ এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে টানটান উত্তেজনা বিধানসভায়। অবশেষে প্রথম এবং শেষ লাইন বলে বক্তৃতা শেষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মন্তব্য রাজনৈতিকমহলের। তবে এদিনের এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
তবে সংবিধান মেনে রাজ্যপাল ভাষণ পাঠ করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত বলেও অনুমান তাঁর।
আজ সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সংবিধান মেনে রাজ্যপাল ভাষণ দেন। আর এরপরেই নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ঢুকতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
পুরভোটে সন্ত্রাস ইস্যুতে প্ল্যাকার্ড-ব্যানার হাতে একেবারে ওয়ালে নেমে চলে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ। প্রায় দুটো থেকে তিন টে পর্যন্ত টানা এই বিক্ষোভ চলে। আর এই অবস্থা থামানোর জন্যে বারবার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিক্ষোভ থামানোর কথাও জানান জগদীপ ধনখড়।
এমনকি একটা সময়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং পার্থ চট্টপাধ্যায়কে ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যা সমাধান না হওয়াতে বারবার বিধানসভা ছাড়তে চান রাজ্যপাল। কিন্তু সরকারের তরফে তাঁকে বারবার আটকানোর চেষ্টা করা হয়। শেষমেশ দুই লাইন পড়ে সংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন জগদীপ ধনখড়।
এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, এতে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারত। একটা নির্বাচিত সরকারকে যেভাবে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাতে আমি মর্মাহত বলেও দাবি তাঁর। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, "বিধানসভায় অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, আগে এরকম দেখেনি।'' বিজেপি নাটক করার চেষ্টা করেছে বলেও দাবি। এমনকি এটা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা বলেও তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
বলেন, বিজেপি যে অসভ্যতা, অভদ্রতা করল, হেরেও লজ্জা নেই। নিজের ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি, হেরে গিয়ে নাটক করছে বলে অভিযোগ। তবে এদিন মমতা একহাত নিয়ে বলেন, বিজেপি গণতন্ত্র মানে না। কিন্তু আমরা রাষ্ট্রপতিকেও সম্মান জানাই। রাজ্যপাল যাতে ভাষণ না পড়েন, অধিবেশন শুরু নয়, তার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ভাষণের শেষ লাইন পড়েছেন রাজ্যপাল, এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ।'। সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি না হওয়াতে চোখেমুখে স্বস্তি দেখা গিয়েছে।
তবে এরপরেই বিধানসভার অন্যান্য কাজ শুরু হলেও রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাতে রাজভবনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।