ভরা শ্রাবণে কালীপুজোর আয়োজন বঙ্গ বিজেপির, আমন্ত্রণ পত্র গেল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে
ভরা শ্রাবণে কালীপুজোর আয়োজন বঙ্গ বিজেপির, আমন্ত্রণ পত্র গেল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী মোদী জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাংলায় কালীপুজো ঠিকমত হচ্ছে কিনা। তারপরেই শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে কালীপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। আর তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। পুরোটাই রাজনৈতিক। অস্বাকীর করেনি বিজেপি।
কালীপুজো করবে বিজেপি
শ্রাবণ মাসকে শিবের মাস বলা হয়ে থাকে। অমরনাথ যাত্রা থেকে শুরু করে মূলত শিবমন্দির গুলিতে ভিড় করেন ভক্তরা। শিবের মাথায় জল ঢালতে যান তাঁরা। এই শ্রাবণ মাসেই কালীপুজোর আয়োজন করছে বঙ্গ বিজেপির। আগামী ২৮ জুলাই বিজেপির রাজ্য দফতরে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ২৮ জুলাই আবার লক্ষ্মীবার। বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে এই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
মোদীকে আমন্ত্রণ
বিজেপির মহিলা মোর্চার কালীপুজোর আয়োজনে সবচেয়ে বড় চমক হল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ। এই কালীপুজোর দিন উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। সেই সঙ্গে আমন্ত্রণ পত্র েগছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছেও। রাজ্যপাল এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর বিজেপির এই কালী পুজো পুরোটাই পরিচালনা করবেন মহিলারা। মহিলা পুরোহিত পুজো করবেন, থাকবেন মহিলা ঢাকি।
কালী বিতর্ক
সম্প্রতি কালী নামে একটি ছবির পোস্টার ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই পোস্টারে এক এলজিবিটি কমিউনিটির ব্যক্তি কালী ঠাকুরের পোশাকে বসে ধূমপান করছিলেন। সেই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরেই বিপুল সমালোচনার মুখে পড়েন পরিচালক। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বিজেপি নেতা। এই পোস্টার প্রকাশ করে ভারতীয় দেবদেবীর অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহুয়া মৈত্রকে নিেয় বিতর্ক
কালী ছবির পোস্টারকে এক প্রকার সমর্থন জানিয়েছিলেন টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাতে বিতর্কের ঝড় আরও পারদ চড়ে। তাই িনয়ে মহুয়া মৈত্রকে িনশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাল্টা মোদীকেও িনশানা করেছেন মহুয়া মৈত্র। তারপরেই গত সোমবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাংলায় কালী পুজো হচ্ছে তো। তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে কালীপুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলে মনে করা হচ্ছে।
২১ শে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে দলে দলে কলকাতামুখী জেলার নেতা-কর্মীরা