রাজ্যে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা বানিয়ে কেন্দ্রকে দেবে বিজেপি
কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা অন্তত এক কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করছে রাজ্য বিজেপি। এই মর্মে কর্মীদের কাছে নির্দেশ শীঘ্রই নির্দেশ যাবে দলের তরফে। বিজেপি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে ঘোর বিপদ। অথচ পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারই হোক কিংবা এখনকার তৃণমূল সরকার, কেউই বিষয়টি নিয়ে কখনও ভাবেনি। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে যেতেই হবে। তা নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছিল তৃণমূল ও সিপিএম। বাংলাভাষী মুসলিমদের বেছে-বেছে বিজেপি নিশানা বানাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর এই ইস্যুতে তারা সরাসরি রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করারও সাহস পাচ্ছে না। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও দুই দলের একাংশ আড়ালে বলছেন যে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বিপদ বটে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক নেতা 'ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা'-কে বলেন, "আমরা জানি, পুলিশকে বললে ওরা কিছুই করবে না। উল্টে অনুপ্রবেশকারীদের খবর দিয়ে দেবে। তাই সীমান্তবর্তী জেলার কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হবে, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে। সেই তালিকা রাজ্য দফতরে জমা পড়বে। আমরা তা পাঠিয়ে দেব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। প্রথম দফায় মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, নদীয়া ইত্যাদি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে আমরা বেছে নিচ্ছি। দ্বিতীয় দফায় হুগলী, হাওড়া, বীরভূম, বর্ধমান জেলাগুলি থাকবে। কারণ আমাদের কাছে খবর আছে, শুধু সীমান্তবর্তী জেলা নয়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা সারা পশ্চিমবঙ্গেই ছড়িয়ে আছে।"
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে অসমে এখন অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ কাজে কেন্দ্রকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে অসমের কংগ্রেস সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রকে একফোঁটা সাহায্য করবেন না। বরং কাউকে জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইলে তৃণমূল তার বিরোধিতা করবে।