নির্বাচনে লড়াকু নেতার অভাব ছিল! ২১ এর নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নিয়ে বিস্ফোরক বিধায়ক
১৯ এ হাফ ২১ শে সাফ! এই মন্ত্রেই বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। ফলাফল প্রকাশের পর যে ছবি দেখা গেল তা বাংলাতেই কার্যত সাফ বিজেপি। এবার বাংলা দখল ছিল বিজেপির কাছে ছিল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। আর সে কারনে দফায় দফায় বাংলায়
১৯ এ হাফ ২১ শে সাফ! এই মন্ত্রেই বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। ফলাফল প্রকাশের পর যে ছবি দেখা গেল তা বাংলাতেই কার্যত সাফ বিজেপি। এবার বাংলা দখল ছিল বিজেপির কাছে ছিল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। আর সে কারনে দফায় দফায় বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গাতে সভা করে গিয়েছেন।
ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন নাড্ডা-শাহরা। কিন্তু এরপরেও ১০০ টা আসনও জোগাড় করতে পারল না বঙ্গ বিজেপি। ৭৭টার মধ্যেই আটকে থাকতে হল তাঁকে।
বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
বাংলার মেয়ের প্রবল জনপ্রিয়তার কাছে প্রবল ধাক্কা খেয়েছেন দিল্লির নেতারা। কার্যত প্রবল তৃণমূল ঝড়ে দাঁড়াতেই পারেননি মোদী-শাহরা। বাংলায় এই বিপর্যয়ের পরেই দলের বিরুদ্ধেই একের পর এক নেতা বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এবার বিস্ফোরক রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক জগন্নাথ সরকার। কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আজ সোমবার কলকাতায় আসেন তিনি। একুশের লড়াইয়ে লড়াকু নেতার অভাব ছিল সেই আত্ম সমালোচনাই শোনা গেল তাঁর গলায়। কার্যত দলের এহেন ফলাফলের জন্যে যোগ্য নেতাকেই দায়ী করেছেবন জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, "নির্বাচনে লড়াকু নেতার অভাব ছিল। কিছুটা কারচুপি আর সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। তাই এই পরাজয়।" এমনটাই মনে করেন তিন।
কোমর বেঁধে লড়াইয়ের বার্তা
তবে এবার যে কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে বিজেপি সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এমন লোককেই তাঁরা বিরোধী দলনেতা বাছবেন যাঁর লড়াকু মনোভাব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই কথা জানান জগন্নাথ সরকারও। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। জগন্নাথ সরকার বলেন, "কে তৃণমূল থেকে এল, কে অন্য দল থেকে এল সেটা বড় কথা নয়। মানুষটা কেমন, কতটা দুর্নীতি করেছে, আগে বিজেপির উপর কত অত্যাচার করেছে এগুলিই বিচার্য হবে।"
বিজেপি নেতৃত্বকে একহাত তথাগতের
ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্বকে একহাত নিচ্ছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। তিনি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন। অভিনেত্রীদের প্রার্থী করার জন্যও তিনি দায় চাপান নেতৃত্বের উপর। এরপর তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তলবও করেন। তথাগত রায় এরপর চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনই যেতে পারছেন না দিল্লিতে। কারণ তিনি করোনা আক্রান্ত। এখন অবশ্য খানিক ভালো আচেন তিনি। তবে দিল্লি পাড়ি দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি দিল্লি যাবেন। তবে চিঠিতে বিশেষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ভোলেননি।
তথাগত রায় তোপ দাগেন যাঁদের নিশানায়
এর আগে তিনি বিজেপির প্রার্থী হওয়া অভিনেত্রীদের নগরীর নটী বলে কটাক্ষ করেন। এরপর কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের মাধ্যমে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ জানান ওই প্রার্থীরা। এরপর তথাগত রায় তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেননকে উদ্দেশ্য করে।
মোদী- শাহদের নাম পাঁকে টেনে এনেছেন যাঁরা
তথাগত রায় ওই চারজনকে কেডিএসএ বলে উল্লেখ করে টুইটে দাবি করেন, এঁরাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের নাম পাঁকে টেনে এনেছেন। এঁদের জন্যই বিশ্বের বৃহত্তর দলের ভাবমূর্তি আজ নষ্ট হতে বসেছে। এরপরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে তলব করে বলে উল্লেখ করেন তথাগত রায় নিজেই।