বঙ্গবিজেপি নেতাদের জন্য কি 'স্টিং' ফাঁদ অপেক্ষা করছে! একুশের আগে সতর্কবাণী ঘিরে জল্পনা
নারদাকে হাতিয়ার করে বিজেপি বনাম তৃণমূল সংঘাত রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় করেছে। নারদা কাণ্ডে শোভন, শুভেন্দুরা বিজেপিতে যেতেই তা নিয়ে তোপের মাত্রা বাড়িয়েছে তৃণমূল। তার আগে পর্যন্ত এই ইস্যুতে একাধারে বিজেপি আক্রমণ শানিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার বিজেপির অন্দরে এক সতর্কবাণী ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।

আইসিসিআর এর সাংগঠনিক বৈঠক ও বিজেপি
রবিবার আইসিসিআরএর সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপি দলীয় নেতাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয় নেতৃত্বের তরফে। এমনই খবর উঠতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফৎ বিজেপি জানতে পেরেছে যে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নারদাকাণ্ডের মতো কোনও স্টিং সম্ভবত পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

কারা রয়েছেন টার্গেটে?
এক বেসরকারি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, নারদার মতো নায়া স্টিংয়ের টার্গেটে বিজেপির তিন তাবড় নেতা রয়েছেন। রাজ্যের ভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়েই এই স্টিং হতে পারে বলে খবর। এপ্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সতর্কতা দেওয়া হয়েছে সাংসদদেরও। সতর্কতা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে, তথা দিলীপ ঘোষের জন্যও।

কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্কতা?
জানা যাচ্ছে, দলীয় বৈঠক, বা কোনও এলাকায় গিয়ে দলীয় কর্মসূচির সময়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নেতাদের। এক্ষেত্রে সেই সময়ই কোনও স্টিং হতে পারে বলে খবর। যা একুশের ভোটে বিজেপির জমি নরম করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

একুশের ভোট ও তুঙ্গে পারদ
প্রসঙ্গত, অরবিন্দ মেনন থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় রা নারদা থেকে সারদা মামলা নিয়ে তোপ দাগলেও, তাঁদের বিরুদ্ধে সেভাবে জোরালো আক্রমণ শানাতে পারেনি বিরোধী শিবির। এদিকে, দিলীপ ঘোষদের মতো নেতাদের মন্তব্য নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ শানালেও সেভাবে বড় ইস্যু এই সমস্ত নেতাদের ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে আসেনি। এমন এক প্রেক্ষাপটে বিজেপি নেতাদের সতর্ক করেছে দল।

মমতা কেন বেছে নিলেন নন্দীগ্রামকে, একুশের 'কুরুক্ষেত্রে’র আগে বহু আকাঙ্খিত প্রশ্ন