পেট্রোলের দাম বাড়ার ইস্যুতে পাল্টা মমতা সরকারকেই আক্রমণে বঙ্গ-বিজেপি নেতারা
রান্নার গ্যাস, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবারই রাস্তায় নামে তৃণমূল৷ তার ১২ ঘন্টার কাটার আগেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ি করে প্রচার শুরু করল বিজেপি৷ বঙ্গ-বিজেপির সায়নৃতন বসু, তরুণজ্যোতি তেওয়ারি সহ অনেক নেতা কর্মী সমর্থকরা এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু করেছেন।
কী বলছেন বিজেপি নেতারা?
প্রাক্তন সাংবাদিক এবং বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'পেট্রোলের দাম হু হু করে বাড়ছে । ভীষণ অপরাধী কেন্দ্রীয় সরকার । তাইতো ?
বাস্তবটা কী? এই ১০০ টাকার মধ্যে কেন্দ্রের ট্যাক্স ৩৩ টাকা ফিক্সড । যার মধ্যে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৪২ শতাংশ পায় রাজ্য গুলি । অর্থাৎ ঐ ৩৩ টাকার মধ্যে ১৪ টাকা পায় রাজ্য । এছাড়াও রাজ্য সরকারের চাপানো ২৫ শতাংশ ভ্যাট অনুযায়ী রাজ্য সরকার ২৫ টাকা ঘরে তুলছে । হিসেব বলছে এই ২৫ আর ১৪ টাকা মিলিয়ে রাজ্য প্রতি ১০০ টাকায় পাচ্ছে ৩৯ টাকা । কেন্দ্র পাচ্ছে ১৯ টাকা।'
একই সুরে কথা বলছেন তরুণ-সায়ন্তনরা
একই যুক্তি সাজিয়ে একটি পোস্টার বানিয়ে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করছেন সায়ন্তন বসু, তরুণজ্যোতি তেওয়ারির মতো বঙ্গ-বিজেপির পরিচিত মুখরা৷ একলিটার পেট্রোলে রাজ্যের নিজের অংশ ৩৯ টাকা থেকে কর কিছুটা কমানোর দাবিও তুলেছেন তরুণ-সায়ন্তনরা।
করোনা ও ফ্রি ভ্যাকসিনের দোহাই!
বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে আরও প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, প্রশ্ন আসছে মূল দাম অর্থাৎ এই ৩৮ টাকাটা বাড়ছে ধাপে ধাপে কি ভাবে এবং কেন ? মে, ২০২১ এ প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল ৬৬.৯৫ ডলার যা জুন ২০২১ এ এসে দাঁড়িয়েছে ৭১.৯৮ এ । প্রায় এক মাসে তেলের দামে যদি পাঁচ ডলারের বৃদ্ধি ঘটে সেই খরচ কে মেটাবে ? এরাজ্যের বাম এবং তৃণমূলীরা বলবেন কেন কেন্দ্র মেটাবে । ঠিক । যেভাবে মিটিয়েছিলেন ড: মন মোহন সিং সরকার । ১ লক্ষ ৪ হাজার কোটি টাকার অয়েল বন্ড বাজারে ছেড়ে । যার দেনা এখন কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে । প্রতি বছর দশ হাজার কোটির সুদ মেটাতে হয় দিল্লিকে । মাথায় দেনা এখনও ১ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা । সঙ্গে সুদ বাবদ দেয় দশ হাজার কোটি বছরে । কোন সরকার চলে, চলতে পারে এভাবে ? সঙ্গে আবার ফ্রী রেশন, ফ্রি ভ্যাকসিন, এবং ৪২ টি গরীব মানুষের প্রকল্প।'