বঙ্গ বিজেপির জন্য ‘ফিক্সড টার্গেট’, অমিতের ‘হোমটাস্ক’-এ হাড় হিম মুকুল-দিলীপদের
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য বঙ্গ বিজেপির টার্গেট ফিক্সড করে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য বঙ্গ বিজেপির টার্গেট ফিক্সড করে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অমিত শাহ যে টার্গেট পাঠিয়েছেন, তার ধারেকাছে পৌঁছতে না পারলে যে সমূহ বিপদ, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের। তাই লক্ষ্যপূরণ মরিয়া বিজেপি। কিন্তু শেষমেশ ফল কী হবে, আদৌ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় কাটছে না বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের।
প্রথম কথা, সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। প্রথম টার্গেটেই ফেল বিজেপি। যতই সন্ত্রাসের অভিযোগ হোক, সাংগঠনিক দুর্বলতা এড়িয়ে যেতে পারে না বিজেপি। সেই অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে ফল। সেইমতো নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা বাংলার জন্য ফিক্সড করে দিলেন বিজেপির টার্গেট।
কী সেই টার্গেট? আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য বিজেপিকে যে টার্গেট দেওয়া হয়েছে, তা অনেকটা এইরকম- কমপক্ষ চারটি জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতিতে অন্তত ৩০ শতাংশ আসনে জিততে হবে। আর গ্রাম পঞ্চায়েতে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আসনে জয়লাভ করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটই শেষ নয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে, তাঁদের মূল লক্ষ লোকসভা। সেই কারণে লোকসভার জন্যও এখন থেকে হোম-টাস্ক দেওয়া হয়েছে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষদের। প্রথম লক্ষ্যমাত্রা ৪২ আসনেই প্রথম দুয়ের মধ্যে থাকা। আর দ্বিতীয় লক্ষ্য- অন্তত ২০টি আসনে জয়লাভ করা। সেই ২০টি আসন বেছে দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকেই সেই ২০ আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে ওই লোকসভা আসনগুলির অন্তর্গত জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত ৩৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে বলেও টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। এবং সেই সঙ্গে বার্তা দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে এই টার্গেট পূরণ করতে না পারলে সরে যেতে হবে দায়িত্ব থেকে।
বঙ্গ বিজেপির তরফে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। সব আসনে তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি। তাই আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ একপ্রকার অসম্ভব বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই আবেদন মেনে পঞ্চায়েতে জয়ের লক্ষ্যমাত্র কিঞ্চিৎ কমানো হলেও অন্য টার্গেট পূরণ করতেই হবে, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি-র তরফে।