দিলীপকে রাজনৈতিক ‘ব্ল্যাকআউট’ বঙ্গ বিজেপির! নেপথ্যে কে, জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
দিলীপকে রাজনৈতিক ‘ব্ল্যাকআউট’ বঙ্গ বিজেপির! নেপথ্যে কে, জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
অমিত শাহ রাজ্যে আসার পর থেকেই বেশি করে চোখে পড়ছে বিষয়টি। বঙ্গ বিজেপিতে প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আগে থেকেই। কিন্তু তা বলে প্রাক্তনকে ব্ল্যাক আউট করার মতো ঘটনা আগে নজরে আসেনি। এবার তা চাক্ষুষ করা গেল। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে 'ব্ল্যাক আউট' করার অভিযোগ উঠল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
দিলীপ ঘোষকে ব্ল্যাক আউট, নানা প্রশ্ন
কিন্তু প্রশ্ন হল, এর নেপথ্যে কে, কার অঙ্গুলিহেলনে বা কার নির্দেশে দিলীপ ঘোষকে ব্ল্যাক আউট করা হল। নাকি এটা মামুলf ভুল? এর পিছনে কি দিল্লির কোনও বার্তা লুকিয়ে রয়েছে? তবে কেন্দ্র নয়, দিলীপ অনুগামীদের অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির একাংশের মদতেই এসব হচ্ছে। সোমবার রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কবি প্রণামের কর্মসূচি নিয়ে সামনে আসে দলের বিবাদ।
ফেসবুকে কেন নেই দিলীপ ঘোষ?
সোমবার বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোয। তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েও শ্রদ্ধা জানান কবিগুরুকে। সেই ছবি নিজের ফেসবুক পেজে দিলেও বিজেপি ওয়েস্টবেঙ্গলের ফেসবুক পেজে দেওয়া নেই। কেন নেই? তাহলে কি দিলীপ ঘোষকে ব্ল্যাক আউট করা হল। সেই প্রশ্ন উঠছে।
দিলীপবাবুর ছবিই কেন বাদ পড়ল
বিজেপি রাজ্য দফতরে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী-রাও। অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট করা হলেও, দিলীপবাবুর ছবি বাদ রয়েছে। বালুরঘাটে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই ছবি রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিলীপবাবু অনুপস্থিত রয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বিজেপির অন্দরেও।
দিলীপ ঘোষ দূরে দূরেই রয়ে গিয়েছেন
এবার অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে প্রাধান্য দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ দূরে দূরেই রয়ে গিয়েছেন। সুকান্ত ও শুভেন্দু অমিত শাহের সর্বক্ষণের সফরসঙ্গী ছিলেন। নিউটাউনে দলের কোর গ্রুপের বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে দেখা গেলেও ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশভোজে দেখা যায়নি তাঁকে।
দিলীপ ঘোষ সরব হয়েছিলেন বৈঠকে
কোর কমিটির বৈঠকে দিলীপ ঘোষ সরব হয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার ও অমিত মালব্যদের উপস্থিতিতেই বলেছিলেন পর্যবেক্ষক হিসেবে সিনিয়র লিডার চাই। সুকান্তর অভিজ্ঞতাও কম। এই অভিযোগের পর দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপিতে আর দূরে সরে গিয়েছেন। এখন দেখরা তাঁর এই ব্ল্যাক আউট হওয়া নেহাতই সাধারণ কোনও ঘটনা, নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনেই তাঁকে দূরে সরানো হয়েছে? উল্লেখ্য, অমিত শাহের সফরের আগে কয়েকদিন ধরেই দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল।
বাবুল সুপ্রিয়র শপথ জট কাটল অবশেষে, কোন সমীকরণে মিলল সমধান সূত্র