পুরভোটের আগে 'বড় দাদা' মোদীর থেকে কোন 'অনুমতি' পেয়ে গেলেন দিলীপ! মুখ খুললেন নিজেই
পুরভোটের আগে 'বড় দাদা' মোদীর থেকে কোন 'অনুমতি' পেয়ে গেলেন দিলীপ! মুখ মুখ খুললেন নিজেই
সামনেই পুরভোট। তাই জনসংযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। আর এমন পরিস্থিতিতেই দেশ জুড়ে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। ফলে সভা জমায়েত থেকে বহু ক্রোশ দূরে দেশের নেতারা। ইতিমধ্যেই বদেশ সফর থেকে হোলির জমায়েত বাতিল করেছেন মোদী। অন্যদিকে, ওড়িশায় দলীয় সভা বাতিল করেছেন শাহও। এমন অবস্থায় দিল্লিতে গিয়ে মোদীর কাছ থেকে এক বিশেষ অনুমতি নিয়ে ফিরেছেন বঙ্গবিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ।
করোনা আতঙ্কের জেরে প্রধানমন্ত্রীর কোন পদক্ষেপ?
করোনা আতঙ্কের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, তিনি এই বছর দোল খেলছেন না। কোনও ধরনের জমায়েতে তিনি অংশ নেবেন না। আর সেই মতো বিজেপির বহু নেতাই এই বছর দোল খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তবে বঙ্গ বিজেপির প্রধান দিলীপ ঘোষকে করোনা আতঙ্ক দমাতে পারেনি! আর সেই জন্যই পুরভোটের আগে বিশেষ অনুমতি তিনি নিয়ে এসেছেন মোদীর থেকে।
কোন অনুমতি পেলেন দিলীপ
দিলীপ ঘোষ সদ্য দিল্লি থেকে ফিরে জানিয়েছেন, তিনি হোলি খেলতে চান পরম্পরা মেনে উদযাপনের মাধ্যমে। কিন্তু এমন ইচ্ছা করোনা আতঙ্কের জেরে বিশবাঁও জলে চলে যায়। এরপর দিলীপ ঘোষ দিল্লি থেকে এই বিষয়ে স্বয়ং মোদীর কাছ থেকে 'অনুমতি' নিয়ে আসেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বড় জমায়েত করবেন না। সত্রক থাকবেন।' ফলে পুরভোটের আগে জনসংযোগের ক্ষেত্রে এই দোল খেলা বাড়তি মাইলেজ বিজেপিকে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
দিলীপ ঘোষ নিজে কী বলছেন!
দোল উদযাপন সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' দোলে আমি বেরব। একটা সামাজিক উৎসবে বহু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। জনসম্পর্ক করতেই যাব। মানুষের সঙ্গে দেখা করব।' ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে পুরভোটের আগে দিলীপ ঘোষ জনসংযোগ বাড়াতে কতটা আগ্রহী।
ফের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ
এবারেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'করোনা নিয়া কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী কষ্ট পয়েছেন। উনি দেশের বড় ডাক্তার। উনি বলেছেন, বাংলায় ভয় নেই। কী অস্ত্র ওনার কাছে আছে, তা উনিই জানেন।... রাজনৈতিক কথাবার্তায় জীবন বিপন্ন করবেন না।'
এর আগে, কেন্দ্রকে করোনা ইস্যুতে তোপ মমতার
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে দেশে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলার প্রশাসন। এর আগে যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন যে, দিল্লি হিংসা থেকে চোখ সরাতেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার করোনা আতঙ্কের কথা বলছে। এরপর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই করোনা ভাইরাস নিয়ে নবান্নে বিশেষ বৈঠক ডাকেন। সচেতন করেন মানুষকে। আর তার প্রেক্ষিতেই দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেন।
দশম শ্রেণির প্রশ্ন পত্রে ম্যাপ পয়েন্টিং ঘিরে বিতর্ক, 'আজাদ কাশ্মীর' চিহ্নিত করতে বলা হল ছাত্রদের