পুরনির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন দিলীপ ঘোষ, প্রচারে তৃণমূল বধের অস্ত্র প্রকাশ
পুরনির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন দিলীপ, প্রচারে তৃণমূল বধের অস্ত্র প্রকাশ
পুর নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে প্রায় ১১১ টি পুরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার মধ্যে ৫০ টি পুরসভায় শাসক তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে থাকতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্য থেকে ১৮ টি লোকসভার আসন দখল করেছিল। সেই ফলাফলের নিরিখে তারা যেমন ১২২ টি বিধানসভার আসনে এগিয়ে ছিল, অন্যদিকে ৪৫ টি পুরসভাতেও তৃণমূলের থেকে এগিয়েছিল তারা। সেই ফলাফলের নিরিখে উৎসাহিত হয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বিজেপি।
বিজেপির টার্গেট ৫০ পুরসভা
১ মার্চ রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। দুপুরে শহিদ মিনারে সভার পর রাতে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানই রাজ্য বিজেপির টার্গেট বেধে দেওয়া হয়।
কলকাতা ও হাওড়াতেও অনেক জায়গাতেই এগিয়েছিল বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা ও হাওড়ার কোনও আসন বিজেপি দখল করতে না পারলেও, অনেক ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। কলকাতার ৩০ টি এবং হাওড়ার ২২ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
নচুন প্রচারে সাফল্য বৃদ্ধির আশা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় এসে বিজেপির নতুন প্রচার শুরু করেছিলেন, যার স্লোগান ছিল 'আর নয় অন্যায়'। যা নিয়ে রাজ্যব্যাপী প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। ১ মার্চ শহিদ মিনারে সভা করেছিলেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি সোনার বাংলা গড়তে চায়। এই নতুন স্লোগানেই বিজেপি সাফল্য বাড়বে বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। গত কয়েকদিনে আর নয় অন্যায়-এ প্রায় ৩ লক্ষ মিসড কড এসেছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অর্গানাইজেশন বিএল সন্তোষ দলের নেতা ও কর্মীদের কাছে বলেছেন, প্রত্যেক পুরসভা নিয়ে তিনদিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
প্রত্যেক পুরসভার জন্য আলাদা ইস্তেহার
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, প্রত্যোক পুরসভার জন্যই আলাদা ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে পুরসভাগুলিতে ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিস্তারিত দেওয়া থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছর তেলেঙ্গানায় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির বিরুদ্ধে এমনই প্রচার করেছিল বিজেপি।
পুরসভার জন্য দ্বিতীয় দফার প্রচার ১৫ মার্চ থেকে
পুরসভা নির্বাটনের জন্য বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রটার শুরু করা হবে ১৫ মার্চ থেকে। সেই প্রচারে সরকারের সামনে একের পর এক প্রশ্ন তুলে ধরা হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের সামনে বিজেপির তরফ থেকে সংকল্প পাত্র(প্রতিশ্রুতি) তুলে ধরা হবে। যা পুরভোটের প্রটার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চালানো হবে।
রাজ্যে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের, স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতার প্রতিশ্রুতির কথা