পদ্মশ্রী দিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান কেন্দ্রের! সরব বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান একসঙ্গে তিন বাঙালির। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাককালে পদ্মের তালিকা প্রকাশ করে মোদী সরকার। আর সেই ঘোষণা অনুযায়ী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পুস্ম ভূষণ এবং গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী এবং পন্ডিত
পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান একসঙ্গে তিন বাঙালির। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাককালে পদ্মের তালিকা প্রকাশ করে মোদী সরকার। আর সেই ঘোষণা অনুযায়ী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পুস্ম ভূষণ এবং গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী এবং পন্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কেও তবলায় অবদানের জন্যে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
কিন্তু নামের তালিকা প্রকাশের আগেও পদ্মশ্রী নেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আর তা নিয়েও যাবতীয় বিতর্ক। যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই আক্ষেপ ঝরে তাঁর কথাতে। তাঁর যে আর মন নেই এই সম্মান প্রাপ্তিতে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
এতদিন যখন তাঁকে সম্মানের উপযুক্ত মনে করা হয়নি, তাই চাই না তাঁর সম্মান। এমনটাই জানানো হয় শিল্পীর পরিবার থেকে। কার্যত এভাবে মুখের উপর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সাহস দেখানোয় তাঁর পাশেই দাঁড়ান বাঙালির একাংশ। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর হয়ে কলম ধরেন।
তবে বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মতে পদ্মশ্রী দিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীকে অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি। আর এই দাবিতেই আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভাপ্রসন্ন, কবির সুমনের মতো বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের দাবি, এই বয়সের এসে অপমানিত হতে হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে।
এই প্রসঙ্গে চিত্র শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, এই বয়সে এসে তাঁকে কেন্দ্র অপমান করল। উনি গোটা দেশের একাধিক ভাষাতে গান গেয়েছেন। বিখ্যাত মানুষদের সঙ্গে তাঁর ছিল যোগাযোগ। তাঁকে পদ্মশ্রী? প্রশ্ন শিল্পীর।
অন্যদিকে কবীর সুমনের কথাতেও এদিন উঠে আসে একাধিক বিষয়। তাঁর সঙ্গে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ-গান সমস্ত বিষয় জায়গা পায়। তাঁর দাবি, 'সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান বাংলার প্রাণ। হাসির ওপারে চলে গেছে ভারত সরকার। এমনকি পদ্মশ্রী দিয়ে আদৌতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান কেন্দ্রের বলেও তোপ সুমনের।
তাঁর দাবি, খুব খারাপ লাগছে। এই বয়সে এসে ধাক্কা খেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বিদ্বেষ থেকেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এহেন পুরস্কার বলেও তোপ গায়কের।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে অন্যান্য চক্রবর্তী বলেন, শুধু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান করা নয়, গোটা বাংলাকে অপমান করেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে সবাইকে একজোট হয়ে প্রতিবাদের ডাক দেন তিনি।
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবালয় থেকে ফোন এসেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সেই ফোনেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানের ভূষিত করা হবে। তা শুনেই অবাক গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তা শুনে পত্রপাঠ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি চান না পদ্ম সম্মান।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাংলার সেরা নাগরিক সম্মান দিয়েছেন।