পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভাগীরথী থেকে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প শ্যামপুরে
ন’বছর আগে শ্যামপুরে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি। সেই পরিকল্পনায় সিলমোহর লাগাতেই চলে গেল এতদিন।
হাওড়া, ২৮ এপ্রিল : ন'বছর আগে শ্যামপুরে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি। সেই পরিকল্পনায় সিলমোহর লাগাতেই চলে গেল এতদিন। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল।
শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবগঞ্জে হচ্ছে এই নয়া প্রকল্প। শিবগঞ্জে ভাগীরথী নদী সংলগ্ন এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। প্রকল্প পরিকল্পনা ও বরাদ্দও প্রস্তুত। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। আর প্রস্তাবিত এই জল প্রকল্পই এবার শ্যামপুরের দু'টি ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে ইস্যু হতে চলেছে।
শ্যামপুরে পানীয় জলের স্তর হাওড়ার বাকি অংশের তুলনায় অনেক নীচে। নদী মাতৃক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও শ্যামপুরের কপালে সারা বছর লেগে থাকে তীব্র জল কষ্ট। সেই কারণে শ্যামপুরের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ৬০০-৭০০ ফুটের গভীর নলকূপ নির্মাণ করতে হয়। তার রক্ষণাবেক্ষণেও খরচ হয়ে যায় তহবিলের সিংহভাগ অর্থ। এই সমস্যার চিরকালীন সমাধানের জন্যই পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কাছে নদীর জল পরিস্রুত করে এলাকায় বণ্টনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সেইমতোই রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পানীয় জল প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর জল পরিশোধন করে তা বণ্টন করা হবে শ্যামপুরের দুই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। জলস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার চম্পক ভট্টাচার্য জানান, এই পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের জন্য জায়গা সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে। শ্যামপুর ১নং ব্লকের ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবগঞ্জে হচ্ছে জলপ্রকল্প।
তিনি জানান, এই জল প্রকল্পের আওতায় শ্যামপুর ১ ও ২ ব্লকের সমস্ত এলাকা ছাড়াও বাগনানের দু-একটি পঞ্চায়েতকেও অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায় বাগনানের মুর্গাবেড়িয়াতেও এক অনুষ্ঠানে এসে ঘোষণা করেছিলেন দামোদর ও রূপনারায়ণে পরিশ্রুত পানীয় জলের আরও একটি প্রকল্প হবে। বিধায়ক রাজা সেনকে তিনি এই বিষয়ে একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট দিতে বলেছেন।
মোটা কথা পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাগনা-শ্যামপুর এলাকাকে নদী থেকে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের আওতায় আনাই লক্ষ পঞ্চায়েত মন্ত্রী। উলুবেড়িয়া পুর এলাকায় জগদীশপুরে ভাগীরথী নদীতে এই ধরনের পানীয় জল প্রকল্প রয়েছে। এরপর উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় একটা প্রকল্প করতে পারলেই পুরো এলাকা পরিস্রুত আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের আওতায় এসে যাবে।