মুনুমুনের পরকীয়ায় ঢুকে পড়েছিলেন শিউলি, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সরালেন পথের কাঁটা
বিবাহ বহির্ভূত বহু সম্পর্কের জটিলতায় খুন হয়েছেন বীরভূমের সিউড়িতে বিউটি পার্লারের মালকিন শিউলি পাল। আট দিনের মধ্যে শিউলি পাল খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ।
বিবাহ বহির্ভূত বহু সম্পর্কের জটিলতায় খুন হয়েছেন বীরভূমের সিউড়িতে বিউটি পার্লারের মালকিন শিউলি পাল। আট দিনের মধ্যে শিউলি পাল খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। এই ঘটনায় শিউলির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া মাধব সিং ও তাঁর বান্ধবী মুনমুন সাহা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্বামী কোলিয়ারিতে কর্মরত, থাকতেন সেখানেই। বাড়িতে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকতেন শিউলি। দশমীর রাতে বাড়ি ফিরে স্বামী দেখেন দরজা হাট করে খোলা, গলায় ফাঁস লাগানো স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর। চমকে উঠেছিলেন তা দেখে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করেছিল এই খুনের পিছনে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই অনুমানই সঠিক হল।
দশমীর দুপুরে প্রথমে মিষ্টিমুখ করানো হয়। তারপর প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকা শিউলি পালকে খুন করে মাধব। শিউলির বাবাও অভিযোগ করেছিল এই খুনের পিছনে রয়েছে পরিচিত কেউ। কারণ পরিচিত কাউকে ছাড়া দরজা খুলত না শিউলি। আর মাধব শিউলিদের বাড়ির নিচে ভাড়া থাকত আগে। তখনই মাধবের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ১৮ বছর ধরে খোঁজার পর 'মিলল' ১৪ বছরের কিশোর! সব আশা নিভল এক লহমায়]
তার আগে বিবাহিত মুনমুন স্বামীকে ছেড়ে থাকতে শুরু করেছিল মাধবের সঙ্গে। মাধবের সঙ্গে শিউলির সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি মুনমুন। তাই মাধব আর মুনুমুন পরিকল্পনা করে দশমীর দুপুরে বাড়িতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফেলে যায়। মাধব ও মুনমুন পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে। এর আগে মাধব আর মুমুন প্রতারণা মামলায় জেল খেটেছিল। শনিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাজের তোলা হয় আদালতে।
[আরও পড়ুন: ট্যাক্সির সিট থেকে কেবিসি-র হটসিটে কলকাতার জালালউদ্দিন, গর্বের কীর্তি জানল সারা দেশ ]
দশমীর রাতে স্বামী আসার পর দেখেন খুন হয়ে পড়ে রয়েছে স্ত্রী। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো রয়েছে, বিছানার উপর পড়ে রয়েছে শিউলির নিথর দেহ। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘর থেকে দুটি প্লেট ও গ্লাস উদ্ধার করে পুলিশ। তা দেখে পুলিশের অনুমান, ঘরে পরিচিত কেউ-ই এসেছিল।