করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে পর্যটকদের ভিড় জমছে জঙ্গলমহলে
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে পর্যটকদের ভিড় জমছে জঙ্গলমহলে
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে একদিকে যখন আন্তর্জাতিক ও দেশের গন্তব্যস্থানগুলিতে সফর করতে ভয় পাচ্ছেন পর্যটকরা, ঠিক তখনই এই আতঙ্ককের ভয় কাটিয়ে লাল পলাশের রূপ দেখতে জঙ্গলমহলে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা।
ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের পর্যটন স্থানগুলিতে ভিড়
জানা গিয়েছে, দোল ও হোলির ছুটির সময় ঝাড়গ্রামের ২৬টি হোটেল ও লজ, বেলপাহাড়িতে দু'টি হোম স্টে পরিষেবা, তিনটি ফরেস্ট বাংলো ও দু'টি সরকারি গেস্টহাউস সব পর্যটকে ভর্তি ছিল। এমনকী অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে তাঁবুগুলিও ফাঁকা ছিল না। দোল-হোলির ছুটিতে সকলেরই গন্তব্য ছিল এবছর পুরুলিয়া। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহে দীঘাতে ৬০ শতাংশ হোটেলই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল এবং উত্তরবঙ্গে একটু বেশি ৮০-৮৫ শতাংশ হোটেলই ভরা ছিল। দোলের একসপ্তাহ আগে ১ মার্চ গরুমারা সাফারিতে ৪০ টি গাড়ির মধ্যে ১২টি গাড়ি পর্যটকদের জন্য ছিল। যদিও চাপমারিতে দু'টি ওয়াচটাওয়ার খোলা রাখা হয়েছিল সাধারণত ১২টি থাকে।
ভুটান–সিকিমের স্বাদ নিতে ভিড় দার্জিলিংয়ে
পার্ক স্ট্রীটের এক ট্যুর পরিচালক বলেন, ‘করোনা আতঙ্কের জন্য ভুটান ও সিকিমের অধিকাংশ জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য দার্জিলিং পর্যটকে পুরো ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জঙ্গলমহলে কোনও সফর বাতিল দেখা যায় নি। এমনকী খুব কম পরিষেবাতেও পর্যটকরা জঙ্গলমহলে যেতে রাজি হয়েছে।' ১৫ মার্চ পর্যন্ত জঙ্গলমহলের সব হোটেল-লজ বুক ছিল। হোলির জন্যই এই বুকিং। তবে ট্যুর পরিচালকরা জানিয়েছেন যে হঠাৎ করেই এই পর্যটকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছে এই জঙ্গলমহল।
হট ফেভারিট জঙ্গলমহল
জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয় সাধারণত নভেম্বরের শুরুর দিকে এবং তা চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু এ বছরই ব্যতিক্রম হল। পর্যটকরা জঙ্গলমহলে ঘোরার মরশুমকে বাড়িয়ে দিল এবং একরাতের মধ্যেই বহু বুকিং চলে এসেছিল। হোটেল ও লজ মাল্করা জানিয়েছেন, হোলির পরও পর্যটকরা ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ঝাড়গ্রাম হোটেল ও লজ সংগঠনের শিবাসিষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বলতে বাধ্য হয়েছি যে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সব রুম ভর্তি রয়েছে।'
জঙ্গল সংরক্ষণের মুখ্য রবিকান্ত সিনহা বলেন, ‘জঙ্গলমহলের সব পর্যটন স্থান ভরে গিযেছে। কিছু বেলপাহাড়ির জনপ্রিয় স্থান কাকরাঝোড় পাহাড় ও লালজল বাঁধ ও নয়াগ্রামের তপোবন ও গোপিবল্লভপুরের হাতিবাড়িতেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।'
আইসোলেশন ওয়ার্ড বাড়াতে নিউটাউনে ৫২টি ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে চলেছে রাজ্য সরকার