লকডাউনের জাঁতাকলে আটকে হস্তশিল্পের কারিগররা পাশে থাকার আশ্বাস বিডিওর
লকডাউনের জাঁতাকলে আটকে হস্তশিল্পের কারিগররা পাশে থাকার আশ্বাস বিডিওর
লকডাউনের জেরে বিপাকে লক্ষ লক্ষ হস্তশিল্পের কারিগর। বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া এবং মিনাখাঁ ব্লকের শালিপুর, বকজুঁড়ি, খাসবালান্দা, সোনাপুকুর-শংকরপুর, কুলটি, বামনপুকুর অঞ্চল সহ বসিরহাটের একাধিক ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ রেডিমেড সেলাই, এম্ব্রয়েডারি এবং চামড়ার মানিব্যাগ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কয়েক হাজার কারিগর লকডাউনের জাঁতাকলে কাজ হারিয়েছে।
তারের তৈরি মানিব্যাগ এবং রেডিমেট পোশাক রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিদেশেও পাড়ি দেয়। লকডাউনের কারণে তাদের আমদানি-রপ্তানি সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। তার ফলে তারা রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন। এই কারিগরদের তৈরি সুন্দর সুন্দর জিনিস নজর কেড়েছে শিল্পপতি থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিদের।
এই কাজের জন্য তারা সামান্যই মজুরি পান। হাওড়া, মেটিয়াবুরুজ, তোপসিয়া সহ বিভিন্ন জায়গার মহাজনদের থেকে কাটা কাপড় এবং কাটা চামড়া নিয়ে এসে তারা তৈরি করেন আকর্ষণীয় মানি ব্যাগ ও পোশাক। লকডাউনে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়িতে ঠিকমতো হাঁড়ি পর্যন্ত চড়েনা।
সামনে ঈদ আসছে, নতুন পোশাক তো দূরের কথা তারা খাবার জোগাড় করতেই হিমসিম খাচ্ছে। তারা সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানায়েছেন। তারা ইতিমধ্যে সরকারের বরাদ্দ হওয়া রেশন থেকে চাল, আটা ও গম পেয়েছেন কিন্তু সেই সামগ্রী দিয়ে এক সপ্তাহের বেশি চলেনা। নেই মেশিনের খট খট শব্দ, লকডাউনে ফাঁকা কারখানা।
কবে লকডাউন উঠবে? কবে কারখানা চালু হবে? কবে কাজ শুরু হবে? কবে স্বাভাবিক হবে জনজীবন, সেদিকেই তাকিয়ে কারিগর থেকে শ্রমিকরা। হাড়োয়ার বিডিও দীপঙ্কর দাস এই কারিগরদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।