বিজেপির মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, অভিযোগ তির তৃণমূলের দিকে
বিজেপির মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাটপাড়া। মনে করিয়ে দিলো লোকসভায় পরবর্তী সময়ের সংঘর্ষের কথা।
বিজেপির মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাটপাড়া। মনে করিয়ে দিল লোকসভায় পরবর্তী সময়ের সংঘর্ষের কথা। বিজেপি-তৃণমূলের গুলি ও বোমার সংঘর্ষে আক্রান্ত দুই পক্ষের বহুকর্মী। আক্রান্ত বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। যার জেরে এদিন বিজেপির তরফে এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়। পরে যা রণক্ষেত্রের পর্যায়ে পৌঁছায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অশান্তির আঁচ করতে পেরে প্রশাসনের তরফ থেকে সেই মিছিল বার করার কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি। যাতে কোনও রকমের অশান্তি না ছড়ায়। এছাড়াও ভাটপাড়ার নানা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখার পাশাপাশি পুলিশকর্মীদেরও মোতায়েন করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। তবুও প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করেই এদিন মিছিলের উদ্দেশ্য পরগনার জগদ্দলের মেঘনা জুটমিলের মোড়ে বিজেপির জমায়েত শুরু হয়। এখান থেকেই মিছিল বের করে ভাটপাড়ার মোড় অবধি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু জমায়েত শুরু হতেই বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দিতে শুরু করে সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ। এরপরেও পুলিশি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে মিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বহু বিজেপি নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হন বলেও অভিযোগ। নোয়াপাড়ার বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিংয়ের ওপরেও আক্রামণ হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি। একাধিক বিজেপি নেতাকর্মীর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
আরও অভিযোগ, হামলা হয়েছে বিজেপি নেতা অরুণ ব্রহ্মের ওপরেও। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। গাড়ি ছেড়ে তিনি পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি ঘটনার সময় দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ।
পরে এই ঘটনার পাল্টা দিতে রাস্তায় নেমে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। লাঠি, বাঁশ, রড হাতে বিজেপি কর্মীদের তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশের দিকে। ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেড। বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়। আক্রান্ত হন দুইজন পুলিশ আধিকারিকও। সেই সঙ্গে এলাকা জুড়ে চলে বিজেপি তৃণমূলের যথেচ্ছ বোমাবাজি ও গুলি। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানান, বিজেপির নেতা কর্মীরা যখন আক্রান্ত হচ্ছিল পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। এলাকায় বোমাবাজি এবং গুলি চলাকালীনও পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখেছে।