বসিরহাট পুরসভার অশান্তি মিটল, বিক্ষুব্ধরা অনাস্থা ফেরাল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অনুরোধে
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপতে বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশে দাঁড়াল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপতে বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশে দাঁড়াল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন বুধবার ১২ জন কাউন্সিলর তাদের অনাস্থা দেওয়া লিখিত কাগজ প্রত্যাহার করেন। দলের অনুমোদন ছাড়াই নিজেরা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা আনেন পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তাতে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছিল না। এই নিয়ে বসিরহাট পুরসভায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়।
হঠাৎই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এলাকায় কাজ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন না। সেকারণেই উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু দলের কোনও অনুমতি ছাড়াই তারাই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় শীর্ষ নেতৃত্ব।
শীর্ষ নেতৃত্ব ওই কাউন্সিলরদের অনাস্থার পক্ষে সম্মতি দেয়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দপ্তরে বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৬ জন কাউন্সিলর হাজির হন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়।
এই কাউন্সিলররা যাতে কোনওদিন দলের সম্মতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত না নেন তারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের এই কাজকে দলবিরোধী কাজ বলে মনে করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার চেয়ারম্যানই জেলা শাসকের দফতরে লিখিত নথি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে বসিরহাট জুড়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান তপন সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সারা বছর মানুষের পাশে থেকে তাদের অভাব অভিযোগ শোনা। এবং বসিরহাট পুরসভাকে উন্নয়নমুখী করে তুলতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। এমনটাই বলছেন বসিরহাটের মানুষ।
তারপরও এই অনাস্থা বসিরহাটের মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়ে পথ চলতি মানুষ এমনকী বিরোধী দলের কাউন্সিলারদের মুখেও তপন সরকারের উন্নয়নমুখী কাজের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে যে কাউন্সিলররা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল তা শেষ অবধি বানচাল হল।