বাদুড়িয়া কাণ্ডের মোকাবিলায় অবশেষে কঠোর প্রশাসন, থমথমে বসিরহাট অঞ্চল
প্রশাসন অবশেষে কঠোর হয়েছে। বাদুড়িয়া সহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রুটমার্চ চলছে। আলাদা করে অশান্তির খবর নেই।
দু'দিন কেটে গিয়েছে। এখনও থমথমে বসিরহাট-বাদুড়িয়া অঞ্চল। দোকানপাট বন্ধ, থমথমে পরিবেশ। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আধাসেনা, পুলিশের টহলদারির শব্দ। সামান্য মুদির দোকান পর্যন্ত খোলেনি। এতটাই ভয়ে ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন মানুষ। তবে প্রশাসন অবশেষে কঠোর হয়েছে। বাদুড়িয়া সহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রুটমার্চ চলছে।[আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল তরজা ও বসিরহাটে অশান্তি নিয়ে কী মত রাজ্য সিপিএমের]
গোটা বসিরহাট মহকুমার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বনগাঁ, বারাসতে সেভাবে উত্তেজনা না ছড়ালেও সেখানেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন বুধবারও এলাকার স্কুল-কলেজ, অফিস দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।[আরও পড়ুন:মমতাকে আক্রমণ করলে রাজ্যপালকে ছাড়বে না তৃণমূল, নজিরবিহীন নিশানা পার্থর]
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই এলাকায় সেনা নেমেছে। কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের মিলিত বিশেষ বাহিনী বাদুড়িয়া ও সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। হাওড়ার পুলিশ সুপার ডিপি সিং বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন। পুলিশের এই দলের বহু সিনিয়র আধিকারিক রয়েছেন।
এছাড়া তিন কোম্পানি আধাসেনা নেমেছে। পাশাপাশি বিএসএফও টহল দিচ্ছে এলাকায়। থমথমে বসিরহাট এলাকায় প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে এলাকা শান্ত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফ মনে করা হচ্ছে, আগের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে বৃহস্পতিবারের আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এই ঘটনায় সীমান্তের দুই পাড়ের দুষ্কৃতীদের একটি দল ঘোলা জলে মাছ ধরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে নেমে পড়েছে বলে খবর। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা কেটে প্রশাসনকে আটকানর চেষ্টা চলেছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।