নোয়াপাড়া থানায় বন্দি ছিলেন নেতাজি! ঘর সংরক্ষণ করতে চায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট
নোয়াপাড়া থানায় বন্দী অবস্থায় কাটিয়ে ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত ঘরকে সংরক্ষণ করতে চায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
এদিন প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এদিন নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াপাড়া থানায় এসে নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত ঘর পরিদর্শন করেন এবং নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন।

১৯৩১ সালের ১১ই অক্টোবর দুপুরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ঘোষপাড়া রোড দিয়ে জগদ্দল জুটমিলের শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে তৎকালীন ব্রিটিশ পুলিশের হাতে আটক হন। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় নোয়াপাড়া থানায়। ১০/১২ ফুটের একটি ঘরে সেই সময় ব্রিটিশ পুলিশ তাকে বন্দী করে রাখেন।
জানা যায়, এলাকারই এক বাসিন্দা নেতাজীকে সেদিন এক কাপ চা দিয়েছিলেন নোয়াপাড়া থানার ভিতর। সেই চায়ের কাপ প্লেট আজও সংরক্ষণ করা হয়েছে নোয়াপাড়া থানায়। দেশনায়কের ১২৫তম জন্ম দিবস উপলক্ষে পুলিশ কর্মীরা সাজিয়ে তুলেছেন নোয়াপাড়া থানাকে। যে ঘরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বন্দী অবস্থায় ছিলেন, সেই ঘরটি এদিন সর্ব সাধারণের দেখার জন্য খুলে দেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নোয়াপাড়া থানা থেকে এদিন নগরপাল মনোজ ভার্মা একমাস ব্যাপী পথ নিরাপত্তার সূচনা হিসেবে একটি ট্যাবলো উদ্বোধন করেন।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানান, 'নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন দর্শন থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করেছি কিভাবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়? কিভাবে নারীদের সম্মান দিতে হয়? তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনকালে নেতাজী যে ভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা নোয়াপাড়া থানার মধ্যে নেতাজীর স্মৃতি কক্ষকে সংরক্ষণ করব। থানার সংস্কার হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণ হবে। তবে নোয়াপাড়া থানার মধ্যে যে ঘরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বন্দী ছিলেন, সেই ঘরটিকে আমরা একই অবস্থায় যত্নের সঙ্গে রক্ষা করব। সেই ঘরটি সর্ব সাধারণের পরিদর্শনের জন্য খোলা থাকবে। নোয়াপাড়া বাসীর কাছে নেতাজী আলাদা আবেগ।'