সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিঘা প্রশাসন
রবিবার দিঘায় সমুদ্রে নেমে তলিয়ে গিয়ে দুই যুবকের মৃত্যুর পরেই ২৪ঘন্টা ব্যবধানে ফের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিঘা প্রশাসন।
রবিবার দিঘায় সমুদ্রে নেমে তলিয়ে গিয়ে দুই যুবকের মৃত্যুর পরেই ২৪ঘন্টা ব্যবধানে ফের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিঘা প্রশাসন। এবং এই নিষেধাজ্ঞা মোতাবেক আগামী ১২তারিখ অবধি পর্যটকদের সমুদ্রে নামা কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। সোমবার দিঘা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এই ঘোষণা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।
উল্লেখ্য
বুলবুল
ঝড়ের
পরিপ্রেক্ষিতে
শনিবার
সমুদ্র
স্নানে
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করে
দিঘা
প্রশাসন,
পাশাপাশি
দিঘা
ছাড়তে
বলা
হয়
পর্যটকদের।
প্রশাসনের
পক্ষ
থেকে
বাসের
ব্যবস্থাও
করা
হয়
পর্যটকদের
ফিরে
যাওয়ার
জন্য।
পর্যটকরা
ফিরতেও
শুরু
করেন।
রবিবার
দিঘার
আকাশ
উজ্জ্বল
ছিল।
কোনও
নিষেধাজ্ঞা
ছিলনা।
দিঘার
প্রশাসক
সুজন
দত্তও
বলেন,
পরিস্থিতি
সম্পুর্ন
স্বাভাবিক।
রবিবার
সকাল
থেকে
স্বাভাবিক
ভাবেই
পর্যটকরা
সমুদ্রে
নামতে
থাকেন।
ঘটনাক্রমে এদিনই নিউ দিঘায় সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের যুবক ইন্দ্রনীল মজুমদার। মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার । আবার ওল্ড দিঘায় মৃত্যু হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার পাটুলিয়ার বাঘাযতীন এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় নস্করের। স্বাভাবিক ভাবেই পুর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়ে নবান্নের কাছে। প্রশ্ন কেন কোনও ধরনের অনুমতি ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল দিঘা থেকে। কারন সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিল ১২তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার অবধি।
কেন মঙ্গলবার অবধি নিষেধাজ্ঞা এর উত্তর দিতে গিয়ে নবান্নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুলবুলের পাশাপাশি মাথায় রাখা হয়েছিল রাসপূর্ণিমার কোটাল, যা মঙ্গলবারই রয়েছে। এই দুইয়ের কারনেই সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে।
দিঘা পুলিশ ও প্রশাসনের আরও একটি ভুমিকায় জেলা প্রশাসন সন্দেহ করা হয়েছে। শনিবার পর্যটকদের দিঘা ছাড়তে বলার পরও কি সব পর্যটক হোটেল ছেড়েছিল ? পুলিশ কি হোটেলগুলিতে গিয়ে খতিয়ে দেখেছিল? কোনও কোনও হোটেল কি তথ্য গোপন করে পর্যটকদের রেখে দিয়েছিল? শনিবার দুর্যোগ থাকার পরও রবিবার সকালে হৈ হৈ করে এত পর্যটক আসল কোত্থেকে? যদি সত্যি দিঘাতে শনিবার রাতে বুলবুলের তাণ্ডব প্রকট হত আর পর্যটকদের ভাল মন্দ হয়ে যেত? এসবই খোঁজ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষ নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যে আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত কেউ সমুদ্রে নামতে ও সমুদ্রের কাছে আসতে পারবেন না।
এদিকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ সোমবার দিঘায় আসা পর্যটকরা। তারা জানিয়েছেন, 'রবিবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক প্রশাসনের এই বার্তা পাওয়ার পরেই তাঁরা এসেছিলেন এখন কি হোটেলে চুপচাপ বসে থাকব? প্রশাসন খামখেয়ালি করবে আর তার মূল্য পর্যটকরা দেবেন?'