পুলিশি জেরার মুখে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ! প্রতিহিংসা পরায়ণতার অভিযোগ
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের জেরার মুখে সাংসদ সৌমিত্র খান। এদিন অন্ডাল বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর থানায়।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের জেরার মুখে সাংসদ সৌমিত্র খান। এদিন অন্ডাল বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর থানায়। সেখানেই তাঁকে নিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাঁকুড়ায় ঢুকতে পারছেন না সৌমিত্র খান। গত জানুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির নামে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সৌমিত্র খান দাবি করেছেন প্রতিহিংসা পরায়ন হয়েই প্রশাসন কাজ করছে।
এবছরের ৯ জানুয়ারি দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা এবং রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়ের উপস্থিতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সৌমিত্র খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে বড়জোড়া থানায়। প্রশান্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি ওই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের আগের দিনই বোমা ফাটিয়েছিলেন সৌমিত্র খান। সেই সময় তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র করছেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও। এদিকে, এর পরেই বাঁকুড়া পুলিশ বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেফতার করেছিল সৌমিত্র খানের ব্যক্তিগত সচিব সুশান্ত দাঁ ওরফে গোপীকে।
প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌমিত্র খান। সেই সময় আদালত জানায় তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তিনি বাঁকুড়াতেও ঢুকতে পারবেন না।