বাজেটের দিনও চলবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, ১০ লক্ষ কর্মী বয়কট করলেন কাজ
শুক্রবার থেকে দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিল ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি। মূলতঃ বেতন বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দাবি–দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ ব্যাঙ্ক কর্মী। শনিবার রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ, কিন্তু এই বাজেটের মধ্যেও চলবে ধর্মঘট। ব্যাঙ্ক কর্মীরা ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানিয়ে এসেছে, কিন্তু কোনও ফল না পাওয়ায় তারা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
শুক্রবার ও শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি–বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০ লক্ষ ব্যাঙ্ক কর্মী তাঁদের কাজ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে এটিএম পরিষেবাও। মূলত, বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজের দাবিতে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স–এর তরফে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ অল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি) –এর তরফে জানানো হয়েছে, দু’দিনের এই ধর্মঘটের পরে ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ অবস্থান বিক্ষোভ করবে ব্যাঙ্ক কর্মীরা ৷ দাবি মানা না হলে ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট হবে।
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিনেই নাজেহাল হতে হল গ্রাহকদের। ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এটিএম পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে টাকা লেন–দেনের ক্ষেত্রেও খুব সমস্যা দেখা দেয়। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো কলকাতাতেও ধর্মঘটের প্রভাবে শহরের অধিকাংশ এটিএমই বন্ধ রাখা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের এআইবিওসির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, 'এই ধর্মঘট ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। যদি আইবিওএ আমাদের দাবি না মেনে নেয় তবে আমরা অন্য ধর্মঘটে যাব।’ রবিবারও ব্যাঙ্কের কাজ বন্ধ থাকায় সোমবার ৩ জানুয়ারি থেকেই মিলবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা। যদিও এই ধর্মঘটের প্রভাব রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওপর পড়েনি।
ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স-এর তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ১২ দফা দাবীর উল্লেখ রয়েছে। ধর্মঘট এড়াতে, বৃহস্পতিবার কর্মী–অফিসারদের ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ–এর সঙ্গে বৈঠকে বসে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ। সেই বৈঠকে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা মতো শুক্র ও শনিবার, দেশজুড়ে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হচ্ছেই বলে দাবি করেছিল ইউএফবিইউ।