তিনদিন মাঝ সমুদ্রে জীবন বাজি রেখে প্রাণে বাঁচল কিশোর, রোমাঞ্চকর সেই কাহিনি
তিনদিন সমুদ্রে ভেসে প্রাণে বাঁচল বছর ১৫-র কিশোর। তিনদিন পর ভারতীয় মৎস্যজীবীরা তাঁকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর অদ্ভুতভাবে প্রাণে বেঁচে কিশোর ইমরান খান জানিয়েছে, তার পরনের লুঙ্গির জন্যই এ যাত্রায় রক্ষা পেল সে। নইলে তার পক্ষে এই অসম লড়াই সম্ভব ছিল না।

ক-দিন আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি
কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করেছিলেন এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে। পাঁচদিন সমুদ্রে ভেসে থেকে তিনি প্রাণে বেঁচেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ দাস নামে কাকদ্বীপের সেই মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর তাঁরা ভারতের বিএসএফের হাতে প্রত্যার্পণ করে রবীন্দ্রনাথকে।

সমুদ্রে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায় সে
এদিন বাংলাদেশের ইমরানকে রায়দিঘি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ইমরান জানিয়েছে, ১২ দিন আগে বাংলাদেশি ট্রলারের সঙ্গে মাছ ধরতে এসেছিল সে। সমুদ্র থেকে জল তোলার সময় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায়। তারপরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সে।

লাইফ জ্যাকেট ছিল না, পরনের লুঙ্গিই বাঁচাল প্রাণ
তার সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। বুদ্ধি করে পরনের লুঙ্গি খুলে হাওয়ার সাহায্যে ফুলিয়ে সমুদ্রে ভেসে ছিল সে। তা দেখতে পায় ভারতীয় ট্রলারের মাঝি মনোরঞ্জন দাস। কাছে নিয়ে গিয়ে দেখেন এক মানুষ ভাসছে ওইভাবে। ইমরনাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে আনা হয়।

বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে ইমরানকে
বাংলাদেশের বরগুনার চরঘোরানি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ। এবার আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাঁকে তুলে দেওয়া হবে বাংলাদেশের হাতে। প্রশাসনের তরফে সেই প্রক্রিয়া সারা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অধ্যাপনার যোগ্যতা যাচাই করতে প্রবীণ ইতিহাসবিদের সিভি চাইল জেএনইউ]