হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনায় নজরুলকে রেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার, ডিলিটে সম্মান প্রদান
বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীকে সুদৃঢ় করার বার্তা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শনিবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানিত ডিলিট নিয়ে ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন তিনি।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীকে সুদৃঢ় করার বার্তা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শনিবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানিত ডিলিট নিয়ে ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামকে স্মরণ করে জানালেন, তাঁর লড়াইয়ের পথ ধরেই বাংলাদেশ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সাম্মানিক ডিলিট গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের ঋণ বাংলাদেশ কোনওদিনও শোধ করতে পারবে না। ভারতবাসী যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা চিরকাল মনে রাখবে বাংলাদেশ। ইন্দিরা গান্ধীর কথাও এদিন ফের স্মরণ করেন তিনি। বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে আমাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা চিরস্মরণীয়।
তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ দেন রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি নজরুল ইসলামকে নিয়ে এই ধরনের ভাবনা-চিন্তা ও তার বাস্তবায়ন করার। তিনি বলেন, বাংলা ভাগ হলেও, আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি যেমন ভাগ হয়নি। তেমনই রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ভাগ হয়নি। আমরা দুই বাংলা চিরকাল এক হয়ে তাঁদের স্মরণ করব।
সেইসঙ্গে তিনি এদিন জানান, ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি। ভারতে সবসময় গণতান্ত্রিক ধারা ছিল, বাংলাদেশে ছিল না। ভারত থেকেই শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা চালু করতে পেরেছি। সেইমতোই আমরা সমস্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি।