বনগাঁ পুরসভা কার দখলে, আস্থা ভোটের পর নির্বাচনী আধিকারিকের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত
আস্থা ভোটেও দখলদারি নিয়ে দড়ি টানাটানির শেষ হল না। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েরই দাবি, বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনী আধিকারিকের জবাবে সেই বিভ্রান্তি না কাটলেও, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত তৃণমূলের দখলেই বোর্ড। বিজেপি এই লড়াই নিয়ে যাচ্ছে আদালতের দরবারে।

নির্বাচনী আধিকারিক গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, আস্থা ভোট হয়েছে। একটা মিটিংয়েই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এবং আইন মেনেই ভোট করা হয়েছে। এদিন কংগ্রেসের কাউন্সিলর তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে অনাস্থার বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। কংগ্রেসের সহায়তা না পেলে তৃণমূলের পক্ষে নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব হত না।
মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট ছিল। সেই আস্থা ভোটকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুরসভার দখলদারি নিয়ে শাসক বিরোধী দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থাৎ সাড়ে তিনটের মধ্যে বিজেপি কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন না। নির্বাচনী আধিকারিকের প্রস্তাব মতোই আস্থা ভোট হয় এবং বিজয়ী হয় তৃণমূল।
শাসক শিবিরের দাবি খণ্ডন করে বিজেপি জানায়, কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তাদের কাউন্সিলরদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটা আস্থা ভোটের নিয়মবিরুদ্ধ। তারা হাইকোর্টকে পুরো বিষয়টি জানাবে। বুধবারই তাঁরা বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে হাইকোর্টে পুনরায় আপিল করবে।
এক্সিকিউটিভ অফিসার বলেন, 'নির্দিষ্ট সময় বিশ্বাস ভোট হয়েছে। একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পরে কেউ এসে আরেকটি প্রস্তাব দিয়ে যায়। কিন্তু তা নিয়ে আমার কিছু করার নেই। তাঁর ইঙ্গিতে আস্থা ভোটে ফলাফ তৃণমূলের অনুকূলে হলেও, তিনি সোজাসুজি কে জয়ী হয়েছে বলতে অস্বীকার করেন। এই ভোট বৈধ বলে গণ্য হলে বনগাঁও পুরসভার দখল থাকবে তৃণমূলের হাতে, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, বিজেপি নির্দিষ্ট সময়ের পরে একটি প্রস্তাব পেশ করে। তবে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আধিকারিকের পক্ষ থেকে।