বনগাঁ পুরসভা মামলায় চেয়ারম্যানের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে, তোপ হাইকোর্টের
চেয়ারম্যানের ভূমিকা আশাতীত নয়। এর ফল চেয়ারম্যানকে ভুগতেই হবে। বুধবার বনগাঁ মামলার শুনানিতে চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
চেয়ারম্যানের ভূমিকা আশাতীত নয়। এর ফল চেয়ারম্যানকে ভুগতেই হবে। বুধবার বনগাঁ মামলার শুনানিতে চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।
উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার বিরোধী ১২ জন বিরোধী কাউন্সিলরের আনা মামলায় বিরোধী কাউন্সিলররা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি পেয়ে ১৬ জুলাই অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বনগাঁ পুরসভার আস্থা-ভোটের অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি কাউন্সিলররা। বিজেপি কাউন্সিলদের অভিযোগ, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে অশান্তি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেখানে ঢুকতে পারেনি বিজেপি কাউন্সিলররা।
অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। মামলায় তাদের আরও দাবি, হাইকোর্ট বিরোধী কাউন্সিলরদেরই ভোটাভুটির অনুমতি দিয়েছিল। শাসক দলের কাউন্সিলরদের দেয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধী কাউন্সিলররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পুর বোর্ড গঠন করতে পারেননি। বিজেপির দাবি, তাদের দিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর রয়েছে ১১ জন। শাসক দলের রয়েছে ১০ জন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বনগাঁর অনাস্থা মামলার শুনানিতে নজিরবিহীন ভাবে হাইকোর্টের সংবাদমাধ্যমের 'নো এন্ট্রি' করে দেওয়া হয় বিচারপতির এজলাসে। ফলে সাংবাদিকেরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি।